সিগারেট আর খুচরা কেনা যাবে না, কিনতে হবে পুরো প্যাকেট। এমনই বিধি রেখে সংশোধন করা হচ্ছে তামাক নিয়ন্ত্রন আইন। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে ২০৪০ সালের মধ্যে দেশ হবে তামাকমুক্ত।
এছাড়া নতুন আইনে যেখানে সিগারেট বিক্রি হয়, সেখানে তামাকজাত পণ্যের প্রদর্শনীও করা যাবে না। নতুন আইনে নিষিদ্ধ হচ্ছে প্যাকেটহীন জর্দা-গুল বিক্রি। ই-সিগারেট, হিটেড টোবাকো পণ্যের আমদানি ও বিক্রিও বন্ধ করা হবে।
এদিকে তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন আগেই বন্ধ হয়েছিল। ২০১৩ সালে যে বিধিমালা করা হয়েছিল, তাতে বিক্রয়ের স্থলে এসব পণ্য প্রদর্শন করা যেত। এবার সেই সুযোগও বন্ধ করা হচ্ছে।
বর্তমানে দোকান থেকে চাইলেই একটি বা দুটি সিগারেটের খুচরা শলাকা কেনা যায়। এবার সেই সুযোগও বন্ধ হচ্ছে। কিনতে হবে পুরো প্যাকেট।
এসব বিধান যুক্ত করে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করা হচ্ছে। ওয়েবসাইটে এরই মধ্যে উন্মুক্ত মতামত নেয়ার কাজ শেষ হয়েছে। চলতি বছরই আইনটি পাশ হতে পারে।
দেশে চার কোটি প্রাপ্তবয়স্ক লোক তামাক ব্যবহার করেন, যা উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ২০১৭ সালের এক সার্ভের তথ্যানুযায়ী, দেশে ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে ৩৫ শতাংশের বেশি প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ তামাকজাত পণ্য ব্যবহার করে। যার মধ্যে ৪৬ শতাংশ পুরুষ ও ২৫.২ শতাংশ নারী।