বুধবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত মিজ নয়েলিন হেইজারের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা ও এর সমাধানের বিষয়ক বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় অচলাবস্থার কারণে রোহিঙ্গাদের মাঝে বিরাজমান হতাশা তাদের আইনবিরোধী কর্মকাণ্ডসহ উগ্রবাদে সম্পৃক্ত করতে পারে। আর তা আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠবে।
তিনি আরো বলেন, মিয়ানমারে সৃষ্ট এই সমস্যার সমাধান একমাত্র মিয়ানমার সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার মাধ্যমে সমাধানযোগ্য। এ সময় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চলমান দ্বিপাক্ষিক ও ত্রিপাক্ষিক প্রচেষ্টার বিষয়ে বিশেষ দূতকে অবহিত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত। চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা সমস্যা সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মহলের মনোযোগ ধরে রাখতে এবং রাখাইনে প্রত্যাবাসন সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে জাতিসংঘ, আসিয়ান ও মিয়ানমারের প্রতিবেশী দেশগুলোতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।
বুধবার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত মিজ নয়েলিন হেইজার। ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের আগ্রহ ব্যক্ত করেছে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে জানান তিনি।