চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেডে ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মো. মামুনুর রশিদ নামে এক মাদরাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এদিন সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন ইপিজেড থানার ওসি মো. আব্দুল করিম। এর আগে, বুধবার বিকেলে কাজির গলি চৌরাস্তা মোড়ের দারুল ইহসান মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতার মামুনুর রশিদ খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ফাতেমা নগরের বাসিন্দা।
জানা যায়, বুধবার বিকেলে মাদরাসার নিচতলায় ঘুমোচ্ছিলেন সাত বছর বয়সী ঐ শিশু। ঐ সময় শিক্ষক মামুন তাকে ঘুম থেকে ডেকে মাদরাসার একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরে বিষয়টি শিশুর পরিবার জেনে গেলে তারা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে পুলিশের সহায়তা চান। পরবর্তীতে পুলিশ গিয়ে মামুনকে আটক করে। এ ঘটনায় মামুনের বিরুদ্ধে ইপিজেড থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগী শিশুর বাবা।
জানা যায়, প্রায় এক বছর ধরে দারুল ইহসান মাদরাসায় পড়ালেখা করছে শিশুটি। তার মা প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৬টায় তাকে মাদরাসায় দিয়ে আসেন এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বাসায় নিয়ে যান। সেখানকার শিক্ষার্থীরা দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষে মাদরাসাতেই ঘুমায়।
বুধবার বিকেলে শিশুটিকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে মাদরাসার একটি কক্ষে নিয়ে যান শিক্ষক মামুন। ঐ সময় তিনি শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন এবং তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে শিশুটি কান্নাকাটি শুরু করলে ছেড়ে দেন। একই সঙ্গে এ ঘটনা কাউকে না জানাতে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখান।
ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বলেন, প্রতিদিনের মত মেয়েকে মাদরাসা থেকে বাসায় নিয়ে আসেন আমার স্ত্রী। বাসায় আসার পর মেয়ে মাকে বলে- সে আর ঐ মাদরাসায় যাবে না এবং তাকে অন্য একটি মাদরাসায় ভর্তি করাতে বলে কান্নাকাটি শুরু করে। তখন মেয়ের কাছে মাদরাসায় যেতে না চাওয়ার কারণ জানতে চাইলে সে সব ঘটনা তার মাকে জানায়। পরে আমি বাসায় ফিরে স্ত্রীর কাছে বিষয়টি জানতে পারি। তাৎক্ষণিক আমরা ৯৯৯-এ কল দিয়ে বিষয়টি জানালে ঐ শিক্ষককে আটক করে পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করি।
ইপিজেড থানার ওসি মো. আব্দুল করিম বলেন, ভুক্তভোগীর বাবার করা মামলায় শিক্ষক মামুনুর রশিদকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।