দেশের চা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে ভিডিও কনফারেন্সে চা শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন তিনি।
জানা গেছে, মজুরি ১২০ টাকা থেকে ১৭০ টাকায় উন্নীত করার পর চা বাগান শ্রমিকদের কাছে চাওয়া-পাওয়ার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এ কনফারেন্স করবেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী চা শ্রমিকদের কথা শুনবেন।
প্রকৃতির নানা প্রতিকূলতাকে সঙ্গী করে যুগ যুগ ধরে চা বাগানের শ্রমিকরা চা পাতা তুলে দেশের উন্নয়নের ধারার সঙ্গে জড়িত।
মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে টানা ১৯দিন কর্মবিরতি ও আন্দোলনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চা বাগানের মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে শ্রমিকদের মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করেন। মালিকপক্ষ প্রধানমন্ত্রীর কাছে শ্রমিকদের মজুরিসহ দৈনিক প্রাপ্যতার যে হিসেব দিয়েছে তা মানতে রাজি নন তারা। শ্রমিকরা মালিক পক্ষের গোঁজামিলের হিসেবের সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
মালিকপক্ষের দাবি, একজন শ্রমিক সপ্তাহে সাড়ে ১০ কেজিরও বেশি আটা পায়; কিন্তু শ্রমিকরা পান আড়াই কেজি। আর শ্রমিক প্রতি দৈনিক সাড়ে ৭টাকা খরচের দাবিও ঠিক না। সব রোগের ওষুধ একটাই প্যারাসিটামল।
এসবসহ আরও অনেক অসঙ্গতি রয়েছে, তা নিরূপণ করার দাবি জানিয়েছেন সিলেট ভ্যালি শাখার বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রাজু গোয়ালা।
এর আগে ২৭ আগস্ট গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিকেলে চা বাগান মালিকপক্ষের বৈঠকের পর শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৫০ টাকা বাড়িয়ে ১৭০ টাকা ঘোষণা করা হয়। টানা ১৯ দিন পর সিলেট জেলার ২৪টি এবং মৌলভীবাজারের ৯৩টি চা বাগানের শ্রমিকরা তাদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন।
বাংলাদেশ শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘মজুরি ১৭০ টাকা প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আমরা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে মেনে নিয়েছি। তবে শ্রম আইনের সংশোধন ও জমিজমা সংক্রান্ত আরও বেশ কিছু দাবি-দাওয়া বাস্তবায়ন চাই আমরা।’
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘চা শ্রমিকরা চেয়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখের দিকে। তিনি মজুরি ঘোষণা করেছেন শ্রমিকরা মেনে নিয়েছে।’