ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে দেবরের সহায়তায় ভাবিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শনিবার রাতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ।
মামলার পর দেবরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী গৃহবধূ ঈশ্বরগঞ্জের সরিষা ইউনিয়নের বাসিন্দা। তবে স্ত্রীর অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি স্বামীর।
স্থানীয়রা জানায়, গৃহবধূর স্বামী রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। চারদিন ধরে নান্দাইলের একটি এলাকায় থেকে কাজ করছিলেন তিনি। ২১ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। সংসারে রয়েছে তিন সন্তান।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, শুক্রবার গভীর রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হন ওই গৃহবধূ। এ সময় দেবরের সহায়তায় তাকে তুলে নিয়ে যান জুয়েল মিয়া ও তার চাচাতো ভাই সোহাগ মিয়া, শামীম মিয়া ও বাবুল মিয়া এবং তার বন্ধু আল আমিন। এরপর তাকে ধর্ষণ করেন। ভোরে বিষয়টি স্থানীয়দের জানান তিনি।
গৃহবধূর স্বামী বলেন, ভাইদের সঙ্গে ১০ শতাংশ জমি নিয়ে তার সমস্যা চলছে। নিষেধ করলেও এ নিয়ে আগেও নানা অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী। রাগ করে এবার ভাইদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করছেন।
গৃহবধূ বলেন, জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দেবরের সঙ্গে সমস্যা চলছে। এর জেরে আমাকে আগেও মারধর করা হয়েছে। এখন বন্ধু ও চাচাতো ভাইদের নিয়ে ধর্ষণ করানো হয়েছে। পরীক্ষা করলেই তা প্রমাণ হবে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। রোববার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগী নারীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।