ইউক্রেন যুদ্ধে আরও সেনা পাঠানোর ঘোষণা ও পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমিরি পুতিনের কড়া হুঁশিয়ারির পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মস্কোর এ সেনা সমাবেশকে ঘিরে উত্তেজনা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর রয়টার্স ও বিবিসির।
এক ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পুতিনকে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দেবে এমনটা তিনি বিশ্বাস করেন না। একই সঙ্গে রুশ বাহিনী ইউক্রেনের যেসব এলাকা দখলে নিয়েছে, সেসব ভূখণ্ড দখলমুক্ত করার পথে ইউক্রেনীয় সেনারা এগিয়ে যাচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। যুদ্ধের ময়দানে রাশিয়ার ক্রমাগত ব্যর্থতার মুখে পুতিন সেনা সমাবেশের এ ঘোষণা দিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন জেলেনস্কি।
পুতিনের ভাষণের কারণে ইউক্রেন যুদ্ধে সহিংসতা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, পুতিনের এ হুমকি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা উচিত।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করার ঘোষণা চরম ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’। একই সঙ্গে মস্কোর কৌশলগত হুমকির বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি। রাশিয়া থেকে নতুন করে আরও তিন লাখ রিজার্ভ সেনা সমাবেশের ঘোষণাকে পুতিনের দুর্বলতা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন জন কিরবি।
পুতিনের সেনা সমাবেশের ঘোষণা ও পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকিকে ‘বিপজ্জনক ও বেপরোয়া’ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ। পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের গুরুতর পরিণতি নিয়ে মস্কোর সঙ্গে যেন কোনো ভুল বোঝাবুঝি না হয়, সেই বিষয়টি ন্যাটো নিশ্চিত করবে বলেও রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানান তিনি।
অন্যদিকে পুতিনের ঘোষণার পর উদ্বেগ প্রকাশ করলেও ইউক্রেন ইস্যুতে আগের অবস্থানে আছে বলে জানিয়েছে চীন। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকা উত্তেজনা কমাতে সব পক্ষকে আলোচনার টেবিলে বসার পরামর্শ দিয়েছে বেইজিং।