ফুটবলে দলগুলোর ব্যক্তিগত বিমানের ব্যবহার ও তার ফলে হওয়া পরিবেশের ক্ষতি নিয়ে সম্প্রতি কম আলোচনা হচ্ছে না। এই আলোচনা-সমালোচনার সবশেষ শিকার হয়েছে ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি)। সেই সঙ্গে তোপের মুখে পড়েছেন দলটির তারকা ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি।
পছন্দের গন্তব্যে যাওয়ার ক্ষেত্রে গণপরিবহন বাদ দিয়ে এখন ব্যক্তিগত যানবাহন, বিশেষ করে ব্যক্তিগত বিমান ব্যবহার বাড়িয়ে দিয়েছেন সেলিব্রিটিরা। সেই তালিকায় আছে বিভিন্ন দলও। যে কারণে পরিবেশ সচেতনতা কর্মীদের তোপের মুখে পড়েছেন তারা।
পরিবেশ সচেতনতা কর্মীদের দাবি, এভাবে গণহারে ব্যক্তিগত বিমান ব্যবহারের ফলে জলবায়ু পরিবর্তন আরো বেশি ত্বরান্বিত হচ্ছে। এই সমালোচনা পিএসজিকে নিয়েও হচ্ছে বেশ। অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে পিএসজি অনেক বছর ধরেই ব্যক্তিগত বিমান ব্যবহার করে আসছে।
এ কারণে কিছু দিন আগে বেশ প্রশ্নের মুখে পড়েছিল পিএসজি। এর জবাবে রসিকতা করে তোপের মুখেও পড়েছিল দলটি। এবার এক গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে নতুন তথ্য। যাতে পিএসজির কার্বন ফুটপ্রিন্ট তো বেরিয়ে এসেছেই, মেসির একার কার্বন ফুটপ্রিন্টও বেরিয়ে এসেছে।
সেখানেই দেখা যাচ্ছে, মেসি তিন মাসে যে পরিমাণ কার্বন ফুটপ্রিন্টের জন্ম দিয়েছেন, তা গড়পড়তা কোনো ফরাসি ১৫০ বছরেও জন্ম দেন না। সম্প্রতি লেকিপের এক গবেষণায় এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, গেল জুন, জুলাই আর আগস্ট মাসে মেসির ব্যক্তিগত বিমান ব্যবহার করা হয়েছে ৫২ বার।
এই যাত্রায় ১৫০২ টন কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ হয়েছে বলে দাবি করছে ফরাসি এই সংবাদ মাধ্যম। একজন গড়পড়তা ফরাসির এই পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ করতে সাধারণত ১৫০ বছরের মতো সময় লেগে যায়। মূলত সে কারণেই মেসি এবার তোপের মুখে পড়ে গেছেন।