করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে আরো ৬১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে শতাধিক। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ৬৫ লাখ ৫১ হাজার ৬৭২ জনে পৌঁছেছে।
একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩৩০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৬৭ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৬২ কোটি ৩৬ লাখ ৬৬ হাজার ৭৮০ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনাভাইরাসের শুরু থেকেই আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে মঙ্গলবার সকালের দিকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটেছে তাইওয়ানে। এ সময়ে দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ হাজার ৪৩১ জন এবং মারা গেছেন ৩৮ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৬৫ লাখ ৮১ হাজার ১১৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ হাজার ২০১ জন মারা গেছেন।
দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২৪ হাজার ১৫৮ জন এবং মারা গেছেন ৯১ জন। একই সময়ে ফ্রান্সে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৬৯০ জন এবং মারা গেছেন ৬২ জন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৬১৬ জন এবং মারা গেছেন ৫৩ জন। আর লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৫ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৫ হাজার ২৭৮ জন।
ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৩১৬ জন এবং মারা গেছেন ৪৭ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ২৫ লাখ ৪২ হাজার ৫৬৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৭৭ হাজার ১৯৭ জন মারা গেছেন। একইসময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২০ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১২ হাজার ১৫০ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।