হাসতে ভালোবাসেন প্রায় সকলে। হাসলে মনের ক্লান্তি দূর হয়, মনের গ্লানি দূর হয়; তেমনই দূর হয় একাধিক রোগ। জানেন তো? আজ হাসি দিবস!
প্রতি বছর অক্টোবর মাসের প্রথম শুক্রবার বিশ্ব হাসি দিবস পালিত হয়। এই বছর ৭ অক্টোবর পালিত হচ্ছে বিশ্ব হাসি দিবস। এবছরের থিম হল, একটি দয়ার কাজ। একজনকে হাসতে সাহায্য করুন।
মেজাজ উন্নত হয় হাসলে। খিটখিটে মেজাজ, রাগ, জেদের মতো স্বভাব সর্বক্ষেত্রে ক্ষতির কারণ হয়। যারা মন খুলে হাসেন তাদের মধ্যে এমন আচরণ কম দেখা দেয়। তাই মানসিক অবস্থা ঠিক রাখতে ও মেজাজ ঠিক রাখতে চাইলে হাসুন। এটি একটি এক্সারসাইজ হিসেবে গণ্য হয়। হাসলে ব্যক্তির শরীর থাকে সুস্থ। যে কারণে বিভিন্ন স্থানে লাফিং ক্লাব দেখা যায়।
স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে হাসি। হাসির স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। হাসলে নিউরোপেপটাইডস নামক ক্ষুদ্র অণু নির্গত হয়। যা রক্তের প্রবাহে স্ট্রেস হরমোন কমাতে সাহায্য করে। এতে সুস্থ থাকা সম্ভব। তাই রোজ মন খুলে হাসুন।
হাসলে আয়ু বৃদ্ধি পায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যারা বেশি হাসের তাদের আয়ু বৃদ্ধি করে। হাসলে যে কোনো মানসিক চাপ কম থাকে। ফলে দূর হয় নানান শারীরিক জটিলতা। এর সুপ্রভাবে ব্যক্তির আয়ু বৃদ্ধি পায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এটি মস্তিষ্কের নিউপোট্রান্সমিটাপ ডোপামিনকে সক্রিয় করে। এর প্রভাবে ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে সুস্থ থাকতে চাইলে রোজ মন খুলে হাসুন।
হাসলে শরীরে অক্সিজেন প্রবেশ করে। পেশী, ফুসফুস ও হৃদয়কে উদ্দীপিত করে। এন্ডোরফিন নিঃসৃত হয় হাসলে। এতে রক্ত সঞ্চালনও ভালো হয়। তাই রোজ হাসুন।