রাশিয়া-ক্রিমিয়া সংযোগ সেতুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের জের ধরে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ একাধিক শহরে দিনভর দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অন্তত ১৪ জন।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ক্রিমিয়া-রাশিয়া সংযোগ সেতুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের জের ধরে সোমবার (১০ অক্টোবর) দিনভর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ একাধিক শহরে একযোগে ৮৪ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী।
এর আগে ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণের জন্য ইউক্রেনকে সরাসরি দায়ী করে এটাকে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে উল্লেখ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
কাস্পিয়ান ও কৃষ্ণ সাগরে জাহাজ থেকে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রায় ৯০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানে। কিয়েভ ছাড়াও এদিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয় লাভিভ, দিনিপ্রো ও জাপোরিজঝিয়াসহ ইউক্রেনের আরও বেশ কয়েকটি শহরে।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে ইউক্রেনের সামরিক, জ্বালানি ও যোগাযোগ অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানোর দাবি করা হলেও এতে বহু আবাসিক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। ধসে পড়েছে একাধিক ভবন। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে কিয়েভের একটি গ্লাস ব্রিজও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানা গেছে।
ইউক্রেনজুড়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে ক্রিমিয়া সেতুতে বর্বরোচিত হামলার জবাব হিসেবে অভিহিত করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেতুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের জন্য কিয়েভকেই সরাসরি দায়ী করে দেশটির সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ না হলেও ভবিষ্যতে আরও ব্যাপক মাত্রায় হামলা চালানোর হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
এদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার সিরিজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ পশ্চিমা নেতারা। একইসঙ্গে রাশিয়াকে রুখতে অস্ত্র সরবরাহসহ ইউক্রেনের প্রতি সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকারও করেন তারা।