শেরপুরে স্বামীকে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় লতা বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে শেরপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম হুমায়ুন কবীর আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে একইসঙ্গে লতা বেগমকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি শ্রীবরদী উপজেলার রাণীশিমুল ইউনিয়নের মৃত সাইফুল ইসলামের স্ত্রী ও তিন সন্তানের জননী। অন্যদিকে, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর পাঁচ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট সুব্রত কুমার দে ভানু জানান, ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট রাত ৮টার দিকে পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে ঝগড়াঝাঁটির একপর্যায়ে বাবার বাড়ির লোকজনদের সামনেই স্বামী সাইফুল ইসলামের গালে থাপ্পড় মারেন গৃহবধূর লতা। সেইসঙ্গে তাকে কিলঘুষিসহ তির্যক ভাষায় তিরস্কারও করেন তিনি। ওই ঘটনায় মনের রাগে-ক্ষোভে সেদিন রাতেই বিষপানে আত্মহত্যা করেন সাইফুল।
পরে সাইফুলের মা সাজেদা খাতুন বাদী হয়ে ওই বছরের ৮ সেপ্টেম্বর লতাসহ ছয়জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। পরে ২০১৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে ছয়জনের বিরুদ্ধেই আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির তৎকালীন এসআই মনিরুল আলম ভুইয়া। বিচারিক পর্যায়ে বাদী, চিকিৎসক, তদন্ত কর্মকর্তাসহ সাত সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এরপর নির্ধারিত দিনে মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন বিচারক।