কুড়িগ্রামের চিলমারীতে আব্দুর রাজ্জাক (৪৮) নামে এক রিকশাচালকের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।
বুধবার উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের খেরুয়ারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত রাজ্জাক খেরুয়ারচর গ্রামের শুক্কুরের ছেলে। রাজ্জাক তিন মেয়ে ও এক ছেলের জনক। তিনি ঢাকায় রিকশা চালান।
ভুক্তভোগী শিশুর মা জানান, বুধবার সকালে মেয়েকে ভাত উঠাতে বলে গরুর জন্য ঘাস আনতে যান। বাড়ি খালি পেয়ে আব্দুর রাজ্জাক শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনা দেখে ফেলে প্রতিবেশী এক শিশু। পরে রাজ্জাক দ্রুত সটকে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশী শিশুটি এ ঘটনা সবাইকে বলে দেয়। এতে ভুক্তভোগী শিশুর মা শিশুটিকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পান। ঘটনার পর অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাক পালানোর চেষ্টা করলে নৌকাঘাট থেকে তাকে আটক করে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা।
শিশুটির মা বলেন, রাজ্জাকের বিরুদ্ধে গ্রামের একাধিক শিশুকে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। এমনকি তার বিরুদ্ধে নিজ পুত্রবধূকে যৌন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। এজন্য তার ছেলের দুই স্ত্রী সংসার ছেড়ে চলে গেছে।
তিনি আরো বলেন, থানায় মামলা করতে আসছি। আমার মেয়ের যে এতবড় ক্ষতি করেছে তার যেন কঠিন শাস্তি হয়। গ্রামের আর কোনো শিশুর যেন সে ক্ষতি করতে না পারে।
নয়ারহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হাসান নিরাশ বলেন, ধর্ষণের অভিযোগের পর ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় আব্দুর রাজ্জাককে আটক করে স্থানীয়রা। গ্রাম থেকে পালানোর সময় তাকে খেয়াঘাট থেকে আটক করা হয়।
অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাক থানায় আটক থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঢুসমারা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।