বলিউড বলতেই উঠে আসে স্বজনপোষণের প্রসঙ্গ। বছরের পর বছর ধরে অভিনয়ে আসার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন কত যুবক-যুবতী, কিন্তু পাত্তা পান কয় জন? অগ্রাধিকার তারকা সন্তানদেরই। আধুনিক সময়েও এই ছবি কি আদৌ বদলাচ্ছে?
পরিবারের অগ্রজেরা অভিনয়ের জগতে না থাকলেও কি সুযোগ পাচ্ছেন নবীনরা? সম্প্রতি টুইটারের ‘আস্ক মি এনিথিং’ সেশনে ইয়ামি গৌতমের কাছে প্রশ্ন রাখলেন এক দর্শক।
উত্তরে ইয়ামি জানান, আগে যা হয়েছে হয়েছে। এখন কি হচ্ছে সেই দিকে নজর দেওয়া উচিত। তার দাবি, ‘এখন আগের ভুলগুলো যাতে না হয় সে দিকেই আমাদের জোর দেওয়া উচিত। ভাল মানের সিনেমা এবং প্রতিভায় ইন্ডাস্ট্রি সাজিয়ে ফেলতে হবে। আর আমার মনে হয়, সেই নতুন বদলের দিকেই হাঁটছি আমরা।’
আগেও বলিউড এবং দক্ষিণ বিতর্কে সরব হয়েহিলেন ইয়ামি। তার মতে সহযোগিতা ছাড়া বৃহত্তর ক্ষেত্রে বড় কাজ হয় না। একসঙ্গেই ঠিক পথে চলতে হবে, যাতে সামগ্রিক ভাবে শিল্পের মান বাড়ে। শিল্প নিয়ে কূটকচালি, রাজনীতির থেকে ভাল মানের কাজকেই গুরুত্ব দিতে চান অভিনেত্রী।
সিনেমায় কাজ করার আগে দীর্ঘ দিন টেলিভিশনে অভিনয় করেছেন ইয়ামি। ২০১২ সালে সুজিত সরকারের ছবি ‘ভিকি ডোনর’-এ আত্মপ্রকাশ করেন অভিনেত্রী। আয়ুষ্মান খুরানার বিপরীতে তার প্রথম কাজ দর্শকের মন জয় করে নিয়েছিল। তার পর অনেক ছবি করেছেন ইয়ামি। শেষ তাকে দেখা গিয়েছিল ‘দশভি’-তে। অভিষেক বচ্চনের বিপরীতে জেলারের ভূমিকায় সপ্রতিভ ইয়ামিকে সকলেই মনে রেখেছেন। আবার ফিরছেন তিনি থ্রিলার ছবি ‘লস্ট’ নিয়ে।