বলিউডের অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সাম্প্রতি তিনি নিজ চোখে দেখেছেন নিষ্ঠুর বাস্তবতা। সভ্যতা আর অর্থনীতির বিকশের সঙ্গে পৃথিবীর এমন অনেক অঞ্চল রয়েছে, যেখানে এখনও মানুষ দিনে একবেলা খাবারও খেতে পায় না। শিশুরা খাদ্যের অভাবে ভোগে পুষ্টিহীনতায়, চলে যায় মৃত্যুর কাছাকাছি। এই দেখার পর তার মন বিষণ্ণ হয়ে আছে।
অভিনয়ের পাশাপাশি মানুষ ও সমাজের জন্য কাজ করেন প্রিয়াঙ্কা। ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে-অঞ্চলে ছুটে যান, অসহায় মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দেখে সহযোগিতার চেষ্টা করেন। এই সূত্রেই সম্প্রতি কেনিয়ায় গিয়েছিলেন পিসি। কিন্তু ফিরে এলেও সেখানকার অসহায় শিশুদের মলিন মুখগুলো তার মনে জেঁকে আছে।
চলতি বছরের প্রথম দিকে মা হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। তাই কেনিয়ার শিশুদের কষ্ট তাকে আরও বেশি মর্মাহত করেছে। তিনি বলেন, ‘আমি ভাবতে পারছি না, যদি আমার সন্তান ক্ষুধায় কান্না করতো, তখন আমার মানসিক অবস্থা কেমন হতো! ওখানকার নারীরা নিজেরা দিনের পর দিন না খেয়ে থাকে, যাতে তাদের সন্তানেরা একটু খাবার পায়; এতে বোঝা যায় মানুষের মধ্যে বিশেষত ওই নারীদের মনে অনেক বেশি শক্তি রয়েছে।’
পুনরায় কেনিয়ায় যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে প্রিয়াঙ্কার। তিনি আশা করছেন, সেই সফরে পরিস্থিতি এরকম থাকবে না, কিছুটা উন্নত হবে।
প্রিয়াঙ্কার ভাষ্য, ‘এই সফরে আমি শিখেছি, তা হলো, চরম কঠিন সময়েও মানুষের ধৈর্য রয়েছে, তাদের মনে সহানুভূতি ও উষ্ণতা রয়েছে। তবে একজন নতুন মা হিসেবে ওখানকার শিশুদের কষ্ট দেখা আমার জন্য খুব কঠিন ছিলো।’
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে মার্কিন গায়ক নিক জোনাসকে বিয়ে করেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। বিয়ের চার বছর পর সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান গ্রহণ করেছেন তারা। একমাত্র কন্যার নাম রেখেছেন মালতি ম্যারি জোনাস।