ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বরিশাল নদীবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করায় সবধরনের লঞ্চসহ নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রোববার রাত থেকে মুষলধারে বৃষ্টিতে বরিশাল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সোমবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিএ-এর বরিশালের নৌবন্দর ও পরিবহণ বিভাগের উপ-পরিচালক আবদুর রাজ্জাক।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রোববার রাত ৯টা থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। সোমবার দুপুর ৩টা পর্যন্ত ১৫৫.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ উচ্চ পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল।
মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় সোমবার নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কসহ অর্ধশতাধিক এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। কেউ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হননি। মাঝে মাঝে দমকা বাতাস বইছে ও নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
জ্যেষ্ঠ উচ্চ পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল জানান, সোমবার মধ্যরাত বা মঙ্গলবার ভোরে পটুয়াখালী জেলার খেপুপাড়ার নিকট দিয়ে বরিশাল ও চট্টগ্রাম উপকূল দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি প্রবেশ করবে। আগামী দুই-তিন দিন ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে ৫ থেকে ৮ ফুট পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। উপকূলে ১০০ কিলোমিটার বেগে ঝড়োবাতাস বয়ে যেতে পারে। টানা বৃষ্টিতে উপকূলের ঘরবাড়ি ও গাছপালার মাটি নরম হওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ-এর বরিশাল নৌবন্দর ও পরিবহণ বিভাগের উপপরিচালক আবদুল রাজ্জাক জানান, বরিশাল নৌবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত থাকায় সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।