টানা তৃতীয়বারের মতো চীনের প্রেসিডেন্ট হওয়ার রেকর্ড গড়েছেন শি জিনপিং। আগামী মার্চেই আনুষ্ঠানিকভাবে শি’কে তৃতীয়বারের জন্য চীনের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করা শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। তিনি একই সঙ্গে তিনি পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতাসীন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) শীর্ষ নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। শনিবার রাজধানী বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব পিপলসে সিসিপির সম্মেলন (কংগ্রেস) শেষে আগামী পাঁচ বছরের জন্য চীনকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য শি জিনপিংকে নির্বাচিত করা হয়। তিনি এর মাধ্যমে মাও সে-তুংয়ের পর দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা হিসেবে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। কংগ্রেস দ্বারা অনুমোদিত একটি প্রস্তাবে বলা হয়েছে যে, শি’র নেতৃত্ব চীনা জাতির পুনরুজ্জীবনকে একটি অপরিবর্তনীয় ঐতিহাসিক পথে স্থাপন করেছে।
চীনের এবারের কংগ্রেস বিভিন্নভাবে শি জিনপিংয়ের ক্ষমতার একটি প্রদর্শনী ছিল। তিনি স্পষ্ট বৃুঝিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি সাম্প্রতিক অবসরের নিয়ম ভঙ্গ করে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান হিসাবে থাকতে চান। শি জিনপিং নতুন করে ক্ষমতা গ্রহনের পর রোববার ঢেলে সাজিয়েছেন ক্ষমতাসীন চিনা কমিউনিস্ট পার্টির স্ট্যান্ডিং কমিটিকে। সিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির ২০তম অধিবেশনে সাত সদস্যের স্ট্যান্ডিং (কার্যনির্বাহী) কমিটি ঘোষণা করেছেন তিনি। মূলত তার ঘনিষ্ঠ সদস্যরাই স্থান পেয়েছেন নতুন কমিটিতে। শি’র নতুন স্ট্যান্ডিং কমিটির নির্বাচিত সদস্যরা হলেন লি কিয়াং, ঝাও লেইজি, ওয়াং হুনিং, কাই কি, ডিং জুয়েজিয়াং ও লি জি মিট। তারা আগামী পাঁচ বছর প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে চিনে নেতৃত্ব দেবেন। তবে, দলের ২৫ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার কমিটিতে কোনও মহিলা সদস্য স্থান পায়নি।
তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার মাধ্যমে শি জিনপিং তার সাম্প্রতিক পূর্বসূরি হু জিনতাওর মতো দলের নেতারা সর্বাধিক এক দশক ধরে কাজ করবেন, এমন ধারনা ভেঙে দিয়েছেন। এও মনে করা হয়েছিল যে, ৬৭ বছরের বেশি বয়সী চীনা কর্মকর্তারা শীর্ষ নেতৃত্বের পদ গ্রহণ করবেন না। তবে, এখন আর সেই অবস্থা নেই। শির বয়স ৬৯ এবং তার নতুন শীর্ষ জেনারেল ঝাং ইউশিয়ার বয়স ৭২। উল্লেখ্য, চীনের আগের সংবিধান অনুযায়ী দুইবারের বেশি মেয়াদে কেউ চীনের প্রেসিডেন্ট হতে পারেন না। ২০১৮ সালে সেই সংবিধান সংশোধন করা হয়।