করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে আরো ৫১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে ৩৫০ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ৬৬ লাখ ৫ হাজার ১৯৯ জনে পৌঁছেছে।
একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৩৭৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৯ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৬৩ কোটি ৭৫ লাখ ৪১ হাজার ৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে রোববার সকালের দিকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানি ঘটেছে জাপানে। এ সময়ে দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪ হাজার ১৭০ জন এবং মারা গেছেন ৭২ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ২৬ লাখ ৮ হাজার ৫৪৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪৬ হাজার ৯৮১ জন মারা গেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৬৬ জন এবং মারা গেছেন ২৭ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৯৬ লাখ ৩৮ হাজার ১৮৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৯৮ হাজার ২২১ জন মারা গেছেন।
তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২৫ হাজার ৫৬৭ জন এবং মারা গেছেন ৬৭ জন। ফ্রান্সে একই সময়ে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৮৪০ জন।
রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৫ হাজার ৬১৭ জন এবং মারা গেছেন ৬৭ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ১৪ লাখ ৫৯ হাজার ২৮৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৯০ হাজার ৫২৬ জনের।
আর লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৫ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ৮৯১ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৯২ হাজার ১৩৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৪১৯ জনের।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।