জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক,সিটিজেন নিউজ: পবিত্র হজ পালনে ভারতীয় মুসলমানদের তুলনায় বাংলাদেশিদের ব্যয় কম বলে দাবি করেছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. শেখ মো. আবদুল্লাহ। রোববার জাতীয় সংসদে হাজী মো. সেলিমের এক প্রশ্নের জবাবে এমন দাবি করেন তিনি।
এ সময় দুই দেশের হজযাত্রীদের তুলনামূলক ব্যয় সংসদে তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে বাংলাদেশের মুসলমানদের হজ পালনে নির্ধারিত ব্যয় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের ব্যয়ের প্রায় দ্বিগুণ তথ্যটি সঠিক নয়। বরং সরকারি ও বেসরকারি উভয় পর্যায়ে হজ পালনে বাংলাদেশে ব্যয় কম।
শেখ মো. আবদুল্লাহ বলেন, ২০১৮ সালের তথ্য অনুযায়ী ভারতে হজযাত্রীদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় অঞ্চলভেদে ব্যয় হয় ২ লাখ ৪৬ হাজার থেকে ২ লাখ ৮৫ হাজার রুপি (বাংলাদেশি ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৮৪১ টাকা)। একই সঙ্গে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের ব্যয় ছিল ৪ থেকে ৫ লাখ রুপি।
তিনি বলেন, অপরদিকে একই বছর বাংলাদেশে সরকারি ব্যবস্থাপনায় (প্যাকেজ-বি) হজযাত্রীদের ব্যয় হয় ৩ লাখ ৩১ হাজার ৩৫৯ টাকা এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় (প্যাকেজ-এ) ব্যয় হয় ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৯২৯ টাকা।
তিনি আরও বলেন, উভয় পর্যায়ে এই ব্যয় আরও কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এবার বিমান ভাড়া না বাড়িয়ে বরং ১০ হাজার ১৯৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মো. মোজাফফর হোসেনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছরই পবিত্র হজ গমনেচ্ছুদের অনেককে বিমানের টিকিট না পাওয়ায় ফিরে যেতে হয়, কথাটি সঠিক নয়। ২০১৮ সালে নিবন্ধিত সবাই পবিত্র হজ পালন করে দেশে ফিরেছেন। তবে ২০১৭ সালে এ ধরনের অনিয়মের কারণে সংশ্লিষ্ট সব হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
মাহফুজুর রহমানের আরেক প্রশ্নের জবাবে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের কাজ আগামী বছরের (২০২০ সাল) মধ্যে সম্পন্ন হবে।