বিশ্বকাপ ইতিহাসে স্বাগতিক দেশ হিসেবে প্রথম ম্যাচেই হেরে গেল কাতার। এর আগে আর কোনো বিশ্বকাপেই এমনটা দেখা যায়নি।
রোববার আল-খোরের আল বাইত স্টেডিয়ামে ফিফা বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক কাতারকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে ইকুয়েডর। ম্যাচের প্রথম আধা ঘণ্টার মধ্যেই দুটি গোল আদায় করে নেয় তারা। দুটি গোলই করেন এনের ভ্যালেন্সিয়া।
প্রথমবার বিশ্বকাপ আয়োজন করে স্বাগতিক দেশ হিসেবে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছে কাতার। স্বাগতিক দেশের ইতিহাস অক্ষুণ্ণ রাখতে ব্যর্থ হলো মধ্যপ্রাচের তেলসমৃদ্ধ দেশটি।
কাতারের এই স্কোয়াডের সবাই স্থানীয় লিগের খেলোয়াড়। তাই চেনা কন্ডিশনে তারা বাড়তি সুবিধা পাবেন বলেই প্রত্যাশা ছিল সবার। আল-বাইত স্টেডিয়ামে এর আগে খেলা তিন ম্যাচে জয় ছিল তাদেরই। নয় গোলের বিপরীতে কোনো গোলও হজম করেনি। কিন্তু এদিন বিশ্বমঞ্চে এসে জোড়া গোল হজম করতে হয় তাদের।
এর আগে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন হয়েছে কাতার বিশ্বকাপের। যদিও মাঠের খেলায় স্বাগতিক কাতার সেই ছাপ রাখতে পারেনি। অন্যদিকে উজ্জীবিত ইকুয়েডর প্রথমার্ধে একেরপর এক আক্রমণে স্বাগতিকদের জালে বল জড়াল দুই বার।
যার ফলে কাতার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচের স্বাগতিকদের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করেছে ইকুয়েডর। দলের হয়ে দুটি গোলই করেছেন এনার ভ্যালেন্সিয়া।
উদ্বোধনী ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই কাতারের জালে বল জড়িয়েছিল ইকুয়েডর। তবে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভার) জানায়, অফ সাইডে ছিলেন ইকুয়েডরের অধিনায়ক এনার ভ্যালেন্সিয়া। যার ফলে বাতিল হয় সেই গোল, অন্যদিকে নাটকীয় শুরু হয় বিশ্বকাপের।
অবশ্য হাল ছাড়েনি ইকুয়েডর। টানা আক্রমণ করতে থাকে তারা। যার ধারাবাহিকতায় ম্যাচের পঞ্চদশ মিনিটে পেনাল্টি পায় হলুদ জার্সিধারীরা। এ সময় ভ্যালেন্সিয়াকে ফাউল করে বিশ্বকাপের প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন কাতারের গোল রক্ষক সাদ আল শিব।
স্পট কিক থেকে সহজেই লক্ষ্যভেদ করে আসরের প্রথম গোলস্কোরার হিসেবে নিজের নাম তোলেন ভ্যালেন্সিরা। গোল দেয়ার পর আক্রমোণের ধার আরো বাড়ায় ইকুয়েডর।
ম্যাচের ৩১ মিনিটে দ্বিতীয়বারের মতো এগিয়ে যায় ইকুয়েডর। এবারও স্কোরারের নাম ভ্যালেন্সিয়া। তার দুর্দান্ত হেড আটকানোর সাধ্য ছিল না সাদের। অবশ্য এরপর ভ্যালেন্সিয়ার পায়ের পেশিতে টান লাগায় তিনি স্বাভাবিক ছন্দে খেলতে পারেননি।
প্রথমার্ধের একদম শেষ মুহূর্তে গোলের সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করে কাতার। এ সময় আলমোয়েজ ঠিকভাবে মাথা ছোঁয়াতে পারলে হয়তো কিছুটা স্বান্তনা নিয়ে বিরতিতে যেতে পারতো স্বাগতিকরা