বুধবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসরের সমাপনী ও পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেন, যদিও বিশ্বকাপ ফুটবল চলছে, সেখানে আমাদের কোনো অবস্থান নেই। এটা কষ্টদায়ক উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি বিশ্বকাপের খেলা টেলিভিশনে দেখি, আর ভাবি কবে আমাদের ছেলে-মেয়েরা এই বিশ্ব আসরে খেলবে।
আমাদের মেয়েরা সাফ গেমস, এশিয়ান গেমসসহ বিভিন্ন বয়সভিত্তিক ফুটবল টুর্নামেন্টে, ক্রিকেটে পারদর্শিতা দেখাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ছেলেরাও একদিন পারবে। সেজন্য তার সরকার বিকেএসপি’র শাখা ৮টি বিভাগে করছে, যেন সব ইভেন্টে খেলোয়াড়রা উৎকর্ষতা অর্জন করতে পারে। আর এজন্য প্রশিক্ষণ একান্ত অপরিহার্য।
তিনি বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতার পর যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুণর্গঠনকালে প্রশিক্ষণের গুরুত্ব অনুধাবন করেই প্রশিক্ষণের জন্য সে সময় জার্মানি, ভারতসহ অন্যান্য দেশে খেলোয়াড় পাঠিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে আনেন।
তার সরকারও ছেলে-মেয়েদের স্পোর্টসের বিভিন্ন শাখায় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে এবং খেলাধুলার জন্য আরো সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে; উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সীমিত সুযোগের মধ্যেও সরকারের এক্ষেত্রে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং সীমিত সুযোগের মধ্যেও আমাদের ছেলে-মেয়েরা যথেষ্ট ভাল করছে। ভবিষ্যতে আরো ভালো করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উক্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহ উদ্দিন স্বাগত বক্তৃতা করেন।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ১২টি ইভেন্টের অধীনে দেশের ১২৫টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ হাজার ৮৫০ জন মহিলাসহ প্রায় ৬ হাজার ৯৫০ জন অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ৩য় সংস্করণের আয়োজন করে। ফুটবল, ক্রিকেট, অ্যাথলেটিক্স, ভলিবল, বাস্কেটবল, টেবিল টেনিস এবং ব্যাডমিন্টন, কাবাডি এবং দাবাসহ ১২টি ইভেন্টের অধীনে সেরা পারফর্মারদের মধ্যে প্রায় ৭২০টি পদক বিতরণ করা হয়।