দ্বিতীয়ার্ধে ৬২ মিনিটে গোল করে ১-০ এগিয়ে যায় স্পেন। এরপর মরিয়া হয়ে একেরপর এক আক্রমণ করতে থাকে থমাস মুলাররা। যেভাবে জার্মানি আক্রমণ করছিল তাতে গোল কোনো না কোনো সময় আসতই। সেটাই হল, অবশেষে ৮৩ মিনিটে সমতা ফিরলো। একার কৃতিত্বে স্পেনের ডিফেন্সকে ফাঁকি দিয়ে বক্সের ভিতরে ঢুকে পড়েন মুসিয়ালা। তার থেকে বল পেয়ে গোলটি করেন নিকলাস ফুলক্রুগ।
এই ম্যাচে হারলে জার্মানির বিদায় নিশ্চিত ছিল, তবে ড্র করার ফলে বেঁচে রইলো নকআউট পর্বে যাওয়ার আশা। তবে সে পর্যন্ত যেতে হলে এবার গ্রুপের বাকি ম্যাচগুলোর ফলাফলের দিকে তাকাতে হবে তাদের।
রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় কাতারের আল বায়েত স্টেডিয়ামে মাঠে নামে জার্মানি ও স্পেন। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে প্রথমার্ধে গোল পায়নি কোনো দল। তবে সুযোগ তৈরি করেছে দুই দলই। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে আগায় দুই দলের লড়াই।
৬২ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় স্পেন। জার্মানির রক্ষণের ভুলের সুযোগ নিয়ে গোলটি করেন আলভাররো মোরাতা। বাঁ দিকে বল পেয়েছিলেন জর্দি আলবা। তার ক্রস থেকে চলতি বলে পা ঠেকিয়ে গোল করলেন পরিবর্ত হিসেবে নামা আলভারো মোরাতা।মরিয়া হয়ে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে জার্মানি। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে গোলকিপারকে একা পেয়েও অকারণে জোরে শট করতে গিয়ে গোলকিপারের গায়ে মারলেন মুসিয়ালা। সুবর্ণ সুযোগ হারায় জার্মানি।
যদিও ম্যাচে ৩৯ মিনিটে গোল করে জার্মানি। সবচেয়ে বড় সুযোগটি পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেছিলেন জার্মানির রুডিগার। কিমিখের ফ্রিকিক থেকে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেছিলেন রুডিগার। কিন্তু সামান্য অফসাইডে বাতিল করা হয় তার গোল।
জার্মানির এই ড্র-এর ফলে নকআউট পর্বে যাবার আশা বেঁচে থাকলেও সামনে রয়েছে বেশকিছু কঠিন সমীকরণ। প্রথম ম্যাচে যে জাপানের কাছে হারতে হয়েছে, আপাতত তাদের ওপর কিছুটা ভরসা করতে পারে জার্মানি। জাপান যদি কোস্টারিকাকে হারায়, তবে জার্মানির পরের পর্বে যাবার সম্ভাবনা বাড়বে। সেই সঙ্গে জাপানকে হারতে হবে স্পেনের কাছে। অন্যদিক বড় ব্যবধানে কোস্টারিকাকে হারাতে হবে জার্মানির।
অথবা, জাপান যদি পরের দু’টি ম্যাচেই হারে, সেক্ষেত্রে পরের ম্যাচ বড় ব্যবধানে জিতলেই নকআউটে পৌঁছে যাবে জার্মানি। এক্ষেত্রে গোলের ব্যবধান বড় ভূমিকা রাখবে।