ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে ব্রাজিলই। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা মিলছিল না। দ্বিতীয়ার্ধে ভিনিসিয়ুসের মাধ্যমে গোলের দেখা পেয়েছিল সেলেসাওরা। তবে নাচ শেষে ব্রাজিলিয়ানরা জানতে পারেছে, গোলটি অফসাইড ছিল।
ধীরে ধীরে শেষের দিকে গড়াতে থাকে ম্যাচ, অন্যদিকে দুশ্চিন্তার ভাঁজ বাড়ে ব্রাজিলিয়ানদের কপালে। শেষ পর্যন্ত ৮৩ মিনিটে আসে কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত। যে সময়ে গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন ক্যাসেমিরো।
ক্যাসেমিরোর একমাত্র গোলে সুইজারল্যান্ডকে হারিয়েছে ব্রাজিল। এই জয়ে কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করেছে সেলেসাওরা।
দুই ম্যাচের দুটিই জিতে ব্রাজিলের পয়েন্ট ৬। সমান ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের সংগ্রহ ৩ পয়েন্ট। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে থাকা ক্যামেরুন ও সার্বিয়া দুই দলেরই সংগ্রহ এক পয়েন্ট। অর্থাৎ শেষ ম্যাচ হারলেও সেলেসাওদের দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে কোনো বাঁধা নেই।
দুই দলই প্রথম ম্যাচে জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে। স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ আজকের ম্যাচে যারা জিতবে তারা এক ম্যাচ হাতে রেখেই নক আউট পর্ব নিশ্চিত করবে। এমন সমীকরণ সামনে রেখে শুরু থেকে সাবধানে খেলতে থাকে ব্রাজিল ও সুইজারল্যান্ড।
বারবার আক্রমণে উঠলেও দুই দলই প্রতিপক্ষের রক্ষণে গিয়ে বল হারিয়েছে। ম্যাচে ৪৭ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে নয়টি শট নেয় ব্রাজিল। যার মাঝে পাঁচটি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে ৪০ শতাংশ সময় বল দখলে রাখা সুইসরা সেলেসাওদের গোলমুখে চারটি শট নিলেও কোনোটিই লক্ষ্যে রাখতে পারেনি।
ম্যাচের ২৬ মিনিটে প্রথমার্ধের সবচেয়ে সহজ সুযোগ পেলেও সেটি কাজে লাগাতে পারেননি ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। অনেকটা ফাঁকায় বল পেলেও ঠিকঠাক শত নিতে পারেননি তিনি। দুর্বল শত সহজেই আটকে দেন ইয়ান সমার।
পাঁচ মিনিট পর আরেকটি দারুণ সুযোগ পেয়েছিল ব্রাজিল। এবার রাফিনহার বুলেত গতির শট সোজা ধরে নেন সমার। এর আগে রিচার্লিসন বলে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হলে আরেকটি সুযোগ হারায় সেলেসাওরা।
এ অবস্থায় প্রথমার্ধে ব্রাজিলের আক্রমণ সামলাতেই ব্যস্ত থেকেছে সুইজারল্যান্ড। বারবার আক্রমণে গেলেও ঠিকঠাক সেটির পূর্ণতা দিতে পারেনি তারা। যার ফলে গোলশূন্য ড্র নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির পর যথারীতি আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে ব্রাজিল। সেই ধারায় ম্যাচের ৬৩ মিনিটে দারুণ দক্ষতায় বল সুইজারল্যান্ডের জালে জড়ান ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। এরপর যথারীতি নাচতে থাকে তারা।
তবে ব্রাজিলিয়ানরা নাচ শেষে পিচে ফিরতেই জানতে পারে, সেটি অফসাইড ছিল। যার ফলে গোলটি বাতিল হয়। তবে হাল ছাড়েনি সেলেসাওরা। সুইস রক্ষণে টানা আক্রমণ করতে থাকে থিয়াগো সিলভার দল।
সেই ধারাবাহিকতায় ম্যাচের ৮৩ মিনিটে গোলের দেখা পায় ব্রাজিল। এবার ডি বক্সের মাঝে ক্যাসেমিরোর শট আটকানর সাধ্য ছিল না সমারের। গোলের সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়েন খেলোয়াড়রা। হাঁফ ছেড়ে বাঁচে তারা।
ম্যাচের বাকি সময়ে আরো বেশ কিছু আক্রমণ করে ব্রাজিল। যার মাঝে অতিরিক্ত সময়ে রদ্রিগোর দারুণ একটা শট আটকে দেন সুইস ডিফেন্ডার। শেষ পর্যন্ত এক গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সেলেসাওরা।