ম্যাচ শুরুর পর ইংল্যান্ডের জালে বল জড়াতে তীব্র লড়াই করতে শুরু করে সেনেগাল। তবে ইংল্যান্ডের রক্ষণভাগ ভেঙে তেমন সফল হতে পারেনি আফ্রিকার এ দল। একইসঙ্গে সেনেগালের জালে বল জড়ানোর চেষ্টায় ছিল ইংল্যান্ড। বেশ কয়েকবার চেষ্টার পর ম্যাচের ৩৮ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় ইংল্যান্ড। জর্ডান হেন্ডারসনের পা থেকে সেই গোলটি আসে।
পরে হ্যারি কেনি হাফ টাইমের সময় অতিরিক্ত তিন মিনিটের সময় সেনেগালের জালে বল জড়িয়ে ইংল্যান্ডকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে নেন। ইংলিশদের এ জোড়া গোলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে সেনেগাল শিবির।
হাফ টাইম শেষ করে আবার সেনেগালের জালে বড় জড়ানোর জন্য নৈপুণ্য শুরু করে ইংলিশরা। মাত্র ৫৭ মিনিটে সেই সুযোগ পেয়ে যান বুকাইও সাকা। তিনি তৃতীয় গোল করে ইংল্যান্ডে ৩-০ গোলে এগিয়ে নেন। এরপর থেকে সেনেগাল খাপ ছাড়া খেলতে থাকে। তবে রক্ষণভাগের সফলতায় ৯০ মিনিট পর্যন্ত আর কোনো গোল দেখতে পারেনি ইংল্যান্ড।
অপরদিকে, সেনেগাল পায়ে বল রাখলেও আক্রমণভাগ তেমন সক্রিয় ছিল না। মাঝে মাঝে আক্রমণ করলেও তার সুফল তোলতে পারেনি আফ্রিকার শক্তিশালী এ ফুটবল দল। ৯০ মিনিটের আরো চার মিনিট যুক্ত করা হয়। সেই সময়েও কোনো দল গোল আদায় করতে পারেনি।
মাঠে বলের ওপর কর্তৃত্ব বেশি রেখেছে ইংল্যান্ড। তারা ৬৩ শতাংশ বল নিয়ন্ত্রণ করেছে। বিপরীতে ৩৭ শতাংশ বল নিয়ন্ত্রণ রেখেছে সেনেগাল। ইংল্যান্ড ছোট ছোট পাস দিয়ে খেলেছে, আর সে তুলনায় অগোছালো পাস করেছে সেনেগাল। অনেকবার সেনেগালের কাছে ইংল্যান্ডের জালে বল জড়ানোর সুযোগ এলেও তারা কাজে লাগাতে পারেনি।