রোনালদোর পরিবর্তে একাদশে জায়গা পাওয়া রামোসের হ্যাটট্রিকে বড় জয় পায় পর্তুগাল। ম্যাচের ১৭, ৫১ ও ৬৭ মিনিটে গোল তিনটি করেন রামোস। চলমান কাতার বিশ্বকাপে এটিই প্রথম হ্যাটট্রিক।
বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় শুরু হওয়া সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে বেঞ্চে রেখেছেন পর্তুগাল কোচ ফের্নান্দো সান্তোস।
পর্তুগালের হয়ে প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেই গোলের দেখা পান গোঞ্জালো রামোস। ম্যাচের ১৭ মিনিটে ফেলিক্সের থ্রো থেকে বল পান রামোস। টপ লেফট কর্ণার দিয়ে জোড়ালো শটে পরাস্ত করেন সুইজারল্যান্ডের গোলরক্ষক সোমারকে।
রামোসের পর পর্তুগালের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন পেপে। ব্রুনো ফার্নান্দেজের কর্ণার কিক থেকে অসাধারণ টাইমিংয়ে হেড দিয়ে গোল করেন পেপে। প্রথমার্ধের বাকি সময় আর কোনো গোল না হলে দুই গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় পর্তুগাল।
বিরতি থেকে ফিরে আরও ভয়ংকর হয়ে উঠে পর্তুগাল। ম্যাচের ৫১ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন রামোস। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে পর্তুগাল চতুর্থ গোলের দেখা পায়। পর্তুগালের হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন রাফায়েল। চার গোল হজমের পর একটি গোল পরিশোধ করে সুইজারল্যান্ড। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে কর্ণার থেকে পাওয়া বলে পা ছুঁইয়ে গোল করেন সুইজারল্যান্ডের আকাঞ্জি।
৬৭ মিনিটে নিজের তৃতীয় গোল করে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন রামোস। ফ্লেক্সের বাড়ানো বল রিসিভ করে হাওয়ায় ভাসিয়ে গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তিনি। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে পর্তুগালের রাফায়েল লিয়াও গোল করলে ৬-১ গোলের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পর্তুগাল।
নকআউট পর্বের ম্যাচে শুরুর একাদশে রোনালদো না থাকলেও পর্তুগালের গ্রুপ পর্বের সব কটি ম্যাচেই খেলেছেন রোনালদো। তিন ম্যাচ খেলে কেবল মাত্র একটি গোল করেছেন রোনালদো। ঘানার বিপক্ষে গোল পেলেও পরের দুটি ম্যাচে একাদশে থেকেও কোনো গোল পাননি তিনি।
বিশ্বকাপের শুরু থেকেই পর্তুগিজ কোচের পছন্দের তালিকাতে ছিলেন রোনালদো। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের পর থেকেই পরিস্থিতি কিছুটা বদলে গেছে। সেদিন ৬৫ মিনিটে রোনালদোকে তুলে নেন সান্তোস। ধারণা করা হচ্ছে এই জেরেই বেঞ্চে রাখা হয়েছে রোনালদোকে।