রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এ সাক্ষাৎ করেন জাপান ও চীনের রাষ্ট্রদূতদ্বয়।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, সাক্ষাতের সময় রাষ্ট্রপতি সফলভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য জাপান এবং চীনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূতদ্বয়কে ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, জাপান বাংলাদেশের পরম বন্ধু, স্বাধীনতার পর থেকে জাপান বাংলাদেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে অবদান রেখে আসছে।
তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক দৃঢ় হয় এবং কালের পরিক্রমায় এ সম্পর্ক ব্যবসা বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা পায়।
বাংলাদেশের বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে জাপানের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তার উল্লেখ করে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য নারায়ণগঞ্জে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে জাপানি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে আরো বেশি বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবেন।
জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা প্রদানের জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্ব দেয় তার দেশ এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানের সহায়তা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
এদিকে চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের সময় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ চীনকে বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন প্রদান করায় চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান ।
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক চমৎকার উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সময় চীনের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াং জেমিনের মৃত্যুতে সহানুভূতি জানান রাষ্ট্রপতি হামিদ।
বিদায়ী সাক্ষাৎকালে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং দায়িত্ব পালনে সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং আশা প্রকাশ করেন ভবিষ্যতে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো গভীর হবে।
এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।