আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস আজ। প্রতি বছরের ১৮ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী অভিবাসী ও তাদের পরিবারের মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস’ যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে উদ্যাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। অভিবাসনসংশ্লিষ্ট সব অংশীজনকে সঙ্গে নিয়ে নানা আয়োজনের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে।
এ বছরের আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের মূল ও জাতীয় অনুষ্ঠান রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০২২’র প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘থাকব ভালো, রাখব ভালো দেশ, বৈধ পথে প্রবাসী আয়-গড়ব বাংলাদেশ’
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও এই অনুষ্ঠানে সিআইপি (এনআরবি) সন্মাননা এবং প্রবাসীদের মেধাবী সন্তানদের বৃত্তি প্রদান করা হবে। মূল অনুষ্ঠানের পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সারা দেশে উদ্যাপন হবে দিবসটি। উদ্যাপনের অন্যান্য অংশে আছে জাতীয় দৈনিকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ, বর্ণাঢ্য স্যুভেনির প্রকাশ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকসসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারণা।
জানা গেছে, ১৯৯৭ সাল থেকে ফিলিপিনো এবং অন্যান্য এশীয় অভিবাসী সংগঠনগুলো দিবসটি প্রথম পালন করতে শুরু করে। শুরুর দিকে তারা ১৮ ডিসেম্বরকে নির্ধারণ করে এবং অভিবাসীদের ঘিরে ‘আন্তর্জাতিক ঐক্য দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে।
১৯৯০ সালে জাতিসংঘ অভিবাসী শ্রমিক ও দেশে রেখে আসা তাদের পরিবারের নিরাপত্তা রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্মেলন করেছিল। এর প্রেক্ষাপটে ১৮ ডিসেম্বর দিনটিকে লক্ষ্য করে মাইগ্রেন্ট রাইটস্ ইন্টারন্যাশনাল, ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন অন মাইগ্রেন্টস রাইটস্-সহ বিশ্বের অনেক সংগঠন অভিবাসীদের স্বার্থ রক্ষার্থে বৈশ্বিকভাবে প্রচারণা চালায়।
অবশেষে ১৯৯৯ সালের শেষার্ধে অন লাইনে ব্যাপক প্রচারণার ফলে জাতিসংঘের মুখপাত্র এ দিবসটিকে ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করতে বাধ্য হন।
দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বাণীতে বলেন, অভিবাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আইন ও নীতি কাঠামো প্রণয়ন ও সংস্কার করার কাজ করছে।
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নে অভিবাসী বাংলাদেশিদের সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। আমাদের সরকার প্রতি উপজেলা থেকে বছরে গড়ে এক হাজার কর্মীকে বিদেশে প্রেরণের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, মহান বিজয় দিবসের এই মাহেন্দ্রক্ষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, আত্মপ্রত্যয়ী ও আত্মমর্যাদাশীল ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে বৈদেশিক কর্মসংস্থানে আমাদের অঙ্গীকারকে সামনে রেখে ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০২২’র প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘থাকব ভালো, রাখব ভালো দেশ, বৈধ পথে প্রবাসী আয়-গড়ব বাংলাদেশ’।