মঙ্গলবার বিআইআইএস ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের সঙ্গে আমেরিকার খুবই ভালো সম্পর্ক। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা অনেক এগিয়ে। তারা আমাদের পরামর্শ দেয়। আতঙ্কের কোনো কারণ নেই, আশঙ্কারও কোনো কারণ নেই। রোমান নতুন করে নাগরিকদের সতর্ক করেছে তাদের দায়-দায়িত্ব এড়ানোর জন্য বলেও জানান মন্ত্রী।
সাংবাদিকদের আতঙ্কের প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, আপনারা এত আতঙ্ক দেখেন কোথায়? এক কানে শোনেন আরেক কান দিয়ে বের করে দেন।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের বাজার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা নতুন নতুন দেশে যাচ্ছি, শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয় রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, মাল্টা যাচ্ছি। একটার পর একটা নতুন নতুন বাজার তৈরি করছি।
উন্নয়নের জন্য স্থিতিশীলতার ওপর গুরুতারোপ করে তিনি বলেন, আমাদের এই উন্নয়ন টিকিয়ে রাখার জন্য, আমাদের অগ্রগতি আরো ত্বরান্বিত করার জন্য আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত দিতে হবে।
মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা না থাকায় সম্পদে ভরপুর হওয়া সত্ত্বেও অনেকের ভরাডুবি হয়েছে, ইয়েমেন, আফ্রিকার লিবিয়া অন্যতম। শান্তি ও স্থিতিশীলতা থাকায় ছোট্টদেশ সিঙ্গাপুরে শান্তি বিরাজ করছে। তাই দেশটি এশিয়ার একটি আশ্চর্য।
ইতালি ও স্পেনে ই-পাসপোর্ট বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ইতালি ও স্পেনসহ আরো দু’একটা দেশে আমাদের বিপুলসংখ্যক জনগণ সমস্যায় আছেন। তারা বয়সের ক্ষেত্রে মিথ্যা বলে কাজ নেন এবং পরে পাসপোর্ট সংশোধন করতে মিশনে এলে তা নবায়ন করা সম্ভ হয় না। ফলে তারা বিভিন্ন ছলচাতুরী করেন, বিভিন্ন জায়গায় ঘুষ দেন। কেউ কেউ আবার বাবা ও মায়ের নাম পরিবর্তন করে ফেলেন। আমরা তো আর এই অনৈতিক কাজ করতে পারি না। তখন তারা মিডিয়ায় ভোগান্তির কথা বলেন আমরা পাসপোর্ট দেইনি।