ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইউরোপজুড়ে তীব্র জ্বালানি সংকটের সমাধান খুঁজতে গ্যাসের ব্যবহার কমপক্ষে ২০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউ। তবে গ্যাসের বদলে কোন জ্বালানি শক্তি ব্যবহৃত হবে সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। এদিকে জ্বালানির দাম নাগালের বাইরে যাওয়ায় এবারের শীতে দেড় লাখ ইউরোপীয়ের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।
রাশিয়া থেকে গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওযায় তীব্র জ্বালানি সংকটে পড়ে জার্মানিসহ পুরো ইউরোপ। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসের ইইউ পার্লামেন্ট ও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র নেতারা রাশিয়ার গ্যাসের বিকল্প খুঁজতে দফায় দফায় বৈঠকে বসেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জার্মানিসহ ইইউর বেশ কয়েকটি দেশ এলএনজি স্টেশন নির্মাণসহ বিশ্বের নানা দেশ থেকে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করে।
তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ না হওয়ায় অবশেষে গ্যাসের ব্যবহার কমপক্ষে ২০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউ। আগামী বছরের মার্চ থেকে নভেম্বরের মধ্যেই এটি কার্যকরের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমপক্ষে ১৮টি দেশ এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে। এরই মধ্যে গ্যাস ব্যবহারে মিতব্যয়ী হতে পদক্ষেপ নিয়েছে ফিনল্যান্ড, লাটভিয়া ও লিথুয়ানিয়া।
তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি সামাল দেয়ার পাশাপাশি বিকল্প জ্বালানি শক্তির উৎস, সম্ভাবনা ও সংকট নিরসন নিয়ে ব্রাসেলসের নেতাদের উদাসীনতায় অসন্তুষ্ট ইউরোপের সাধারণ মানুষ। এত কিছুর পরও জ্বালানির দাম কমাতে না পারায় হতাশ ও শঙ্কিত অনেকে।
সংকট নিরসনে কেমন সময় লাগবে সে বিষয়েও নিশ্চিত নন কেউ। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় চলতি শীত মৌসুমে দেড় লাখ ইউরোপীয় মারা যেতে পারেন।