নিজস্ব প্রতিবেদক,সিটিজেন নিউজ: আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং ইউএসএআইডি বাংলাদেশে যক্ষারোগ নির্মূল করার লক্ষ্যে তাদের অংশীদারিত্বকে আরো জোরদার করার অঙ্গীকার করেছে। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।বাংলাদেশে ২০২২ সালের মধ্যে সব ধরণের ক্ষেত্রে যক্ষার শনাক্তকরণ এবং চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগের হার হ্রাস করার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং ইউএসএআইডি-এর মধ্যে একটি যৌথ অংশীদারিত্বের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
অংশীদারিত্বের এই নতুন বিবৃতি ইউএসএআইডি-এর অংশীদারিত্বের নতুন মডেলের সর্বশেষ কার্যক্রম হলো ‘যক্ষা নির্মূলে বিশ্বব্যাপী জোরদার কর্মসূচি’। যার লক্ষ্য হলো বিনিয়োগে অনুঘটক হিসেবে কাজ করা ও বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন দেশকে সাহায্য করা এবং ২০২২ সালের মধ্যে ৪ কোটি মানুষের চিকিৎসা করার জাতিসংঘের লক্ষ্য পূরণ করা।
এই চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ২০২২ সালের মধ্যে যক্ষারোগ উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করল।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ইউএসএআইডি মিশন ডিরেক্টর ডেরিক ব্রাউন উল্লেখ করেন, ‘বাংলাদেশ ২০২২ সালের মধ্যে তার লক্ষ্য অর্জনে নিজেদের প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করছে। তাই আজ অংশীদারিত্বের এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করার মাধ্যমে আমরা ইউএসএআইডি নিজেদেরকে বাংলাদেশ সরকারের নিকটতম অংশীদার হিসেবে পুনরায় অঙ্গীকার করলাম। পরবর্তী পাঁচ বছরে বাংলাদেশে ১৫ লাখেরও বেশি নতুন যক্ষারোগী শনাক্ত এবং চিকিৎসা করা প্রয়োজন। ধরা পড়েনি এমন সব যক্ষারোগী অনুসন্ধান, প্রতিরোধ এবং চিকিৎসা করার লক্ষ্য অর্জনে ইউএসএআইডি বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে দৃঢ়ভাবে সহযোগিতা করবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ২৫ লাখ যক্ষারোগীর চিকিৎসা করেছে। যাই হোক, প্রায় ২৬% রোগী ধরা পড়ে না এবং বিভিন্ন ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষারোগীর ক্ষেত্রে এই হার আরো বেশি।
অংশীদারিত্বের বিবৃতিতে স্বাক্ষর করার মাধ্যমে বাংলাদেশে যক্ষা নির্মূল করার লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের কৌশলগত অংশীদার হবে ইউএসএআইডি বাংলাদেশ।
ইউএসএআইডি বাংলাদেশ মূলত পরীক্ষাগার এবং ডায়াগনস্টিক পরিষেবা শক্তিশালীকরণ, শনাক্তকরণ এবং সব ধরনের যক্ষার চিকিৎসা এবং প্রতিষেধক থেরাপিতে বিনিয়োগ করবে।
ইউএসএআইডি-এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশে ৭ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি উন্নয়ন সহায়তা দিয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সুযোগ বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষার উন্নয়ন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং চর্চার জোরদারকরণ, পরিবেশ রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের উন্নত জীবন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইউএসএআইডি ২০১৭ সালে ২১২ মিলিয়ন ডলার প্রদান করে।