রেলওয়ে সূত্রে আরো জানা গেছে, নতুন কোচগুলো খালাস শেষে চট্টগ্রাম গুডস পোর্ট ইয়ার্ড (সিজিপিওয়াই) হয়ে পাহাড়তলী কারখানায় নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
জানা গেছে, এমভি স্টার টাইচি জাহাজটি গত ২৪ ডিসেম্বর কোরিয়া থেকে কোচগুলো নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে, যা বুধবার সকালে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়।
এদিকে আমদানি করা কোচগুলো স্টিলনেস স্টিল বডি, বায়ো-টয়লেট সংযুক্ত, স্বয়ংক্রিয় এয়ারব্রেক-স্লাইডিং ডোরসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা রয়েছে। দেড়শ কোচের মধ্যে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) স্লিপিং বার্থ ৩০টি, এসি চেয়ার কোচ ৩৮টি, শোভন চেয়ার ৪৪টি এবং খাবার গাড়িরসহ শোভন চেয়ার ১৬টি, পাওয়ার কার (বিদ্যুৎ সঞ্চালন বগি) শোভন চেয়ার কোচ ১২টি, একটি করে খাবার গাড়ি ও পরিদর্শন গাড়ির কোচ রয়েছে।
রেলওয়ে মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, নতুন কোচগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে। এগুলোর খালাস কার্যক্রম চলছে। সেগুলোকে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে সবরকম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রেল যোগাযোগকে আরও গতিশীল করতে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ১৫০ কোচ কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই সম্পূর্ণরূপে ডাবল লাইনে উন্নীত হবে। ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্রেন যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রতিটি ট্রেনের সময় বাঁচবে। যাত্রীদের ৩০ মিনিট থেকে একঘণ্টা সময় সাশ্রয় হবে।