রাজধানীসহ সারাদেশে জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশা আর মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে জনজীবন। প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। প্রচণ্ড শীতে ঠান্ডাজনিত রোগ শুরু হয়েছে। শীত এখানেই থামছে না, এ মাসেই সারাদেশে বড় ধরনের শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা।
জানুয়ারিজুড়ে ঘন কুয়াশার সঙ্গে বাতাস থাকার কারণে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রাজধানীবাসিকে। সকালে ঘন কুয়াশা আর মেঘের আড়ালে ঢাকা সূর্য। তবে থেমে থাকেনি কর্মজীবী মানুষের চলাচল।
আবহওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। জানুয়ারিতে দেশে দুই থেকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দেওয়া আছে।
এ মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম বলেন, এখন যে তাপমাত্রা রয়েছে, তা এই সময়ের জন্য স্বাভাবিক। তবে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে দেশের ওপর দিয়ে হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করেছে। উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে এখন শীত তুলনামূলক বেশি অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রা যতটা কমেছে, তার চেয়ে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে।
চলতি মৌসুমে শীতের আমেজ তুলনামূলক কম ছিল। ডিসেম্বরে লঘুচাপ, নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড় ‘ম্যানদাউস’র প্রভাব এবং কিছুদিন আগে হালকা বৃষ্টির কারণে শীত ঝেঁকে বসতেও সময় নিয়েছে। দুয়েকদিনের জন্য মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হলেও তা দীর্ঘায়িত হয়নি।