চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করে বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তর করতে হবে।
মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার বিভাগের কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলাপে তিনি এ কথা বলেন।
চসিক মেয়র বলেন, মেয়র পদে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে তিনি চট্টগ্রামের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে শৃঙ্খলার মধ্যে এনেছেন। তবে বিভিন্ন আধুনিক দেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা লাভের মাধ্যমে অনুধাবন করছি, চট্টগ্রামে প্রতিদিন যে বিপুল পরিমাণ বর্জ্য উৎপাদন হয় তা প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে যেন সম্পদে রূপান্তরের পাশাপাশি উন্নত পরিবেশ গড়ে তুলতে পারি।
এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতিনিধি দল জানায়, চীনের এশীয় পরিকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি)-এর সহায়তায় সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন করতে পারে। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সংগৃহীত বর্জ্যকে প্রক্রিয়াজাত করে জৈব সার, ডিজেল ইত্যাদি উৎপাদন সম্ভব। এছাড়া এ প্রক্রিয়ায় বর্জ্য থেকে ক্ষতিকারক গ্যাস, ময়লা পানি ও দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এছাড়া বর্জ্য পরিবহনে সৌর বিদ্যুৎনির্ভর আধুনিক গাড়ি ব্যবহার করলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আরো গতিশীল হবে।
এ সময় প্রকল্প বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম নগরীকে উত্তর ও দক্ষিণ দুই ভাগে বিবেচনা করে দুটি প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য পাঁচ একর করে মোট দশ একর ভূমি বরাদ্দের প্রস্তাব করলে মেয়র এ ব্যাপারে তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে কনসালট্যান্ট ইফতেখার এনায়েতল্লাহ এবং মো. মাকসুদ সিনহা চসিক মেয়রের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর চসিক নিয়ন্ত্রিত হালিশহর টিজি ও এক নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলি ওয়ার্ডের নতুন ল্যান্ডফিলের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, যান্ত্রিক শাখার প্রধান তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আকবর আলী, নির্বাহী প্রকৌশলী মীর্জা ফজলুল কাদের, প্রকৌশলী জয়সেন বড়ুয়া ও চসিক কনসালট্যান্ট গোলাম সরওয়ার প্রমুখ।