বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, আমরা ২০৩০ সাল নাগাদ বিমানযাত্রী পরিবহন দ্বিগুণ করতে চাচ্ছি। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলটি বৃহত্তম বিমান পরিবহন বাজারে পরিণত হবে। এ জন্য বিমানযাত্রীর সংখ্যা দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে বেসামরিক বিমানের পরিবহনের জন্য বেশ কয়েকটি নীতি প্রবর্তন ও নিয়ন্ত্রণমূলক সংস্কার করেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীতে একটি হোটেলে কসক্যাপ-এসএ’র ৩০তম স্টিয়ারিং কমিটির সভায় এ কথা বলেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এ সভার আয়োজন করে।
তিনদিনের এই সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশ- ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, মালদ্বীপ, ভুটান, আফগানিস্তান ও আয়োজক বাংলাদেশ এর বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ এবং ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইসিএও)-এর উচ্চ পদস্থ আঞ্চলিক প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সমন্বিত ও টেকসই উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে বাংলাদেশে বেসামরিক বিমান পরিবহন খাতে বিনিয়োগ এখন ব্যয় সাশ্রয়ী।
তিনি বলেন, দেশব্যাপী সময়মতো বেসামরিক বিমান অবকাঠামো সম্প্রসারণ, যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধি, কারিগরি ও মানুষের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন বিমান যাত্রা নিশ্চিতে কাজ চলছে। বাংলাদেশকে একটি প্রধান বিমান কেন্দ্র ও আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করার লক্ষ্যে এ পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিমা বিশ্বের প্রধান গন্তব্যগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বিমান রুটের একটি বৃহৎ নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে- যা বাংলাদেশে ও বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহনের উন্নয়নে সহায়ক হয়েছে।
পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির কারণেই বিমান যোগাযোগ বৃদ্ধির এই সুযোগ এসেছে।
তিনি জানান, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে জিডিপি’র প্রায় ০.০৮ শতাংশ এই বেসামরিক বিমান পরিবহন খাত থেকে এসেছে। এই ধারা অব্যহত থাকলে, ২০৩৮ সাল নাগাদ বিমান পরিবহনে বাংলাদেশ আরো ১২.১ মিলিয়ন যাত্রী বহনে সক্ষম হবে। যার ফলে মোট যাত্রীর সংখ্যা দাঁড়াবে ২২ মিলিয়নের বেশি।