সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করেছে আদালত। একই সঙ্গে মামলার নথি তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. জেবুন্নেছা বেগমের আদালত এ নির্দেশ দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি আবদুর রশীদ বলেন, মামলাটি বিচারের জন্য তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন উচ্চ আদালত থেকে জামিনে থাকা আসামি এহতেশামুল হক ভোলা। শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর ও মামলার আরেক আসামি বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে হাজিরা পরোয়ানা জারি করে আদালত।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরের জিইসি মোড়ের কাছে ওআর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ঐ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন তার স্বামী তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার। মামলাটি তদন্ত করছিল নগর ডিবি পুলিশ। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ‘আদালতের নির্দেশে’ মামলার তদন্তভার পায় পিবিআই।
এরপরই ঘুরতে থাকে মামলার গতিপ্রকৃতি। পিবিআইয়ের তদন্তে উঠে আসতে থাকে স্ত্রী হত্যার সঙ্গে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততার নানা দিক। ২০২১ সালের ১০ মে মামলার বাদি হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাবুল আক্তারকে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো কার্যালয়ে ডেকে আনা হয়। এরপরই তাকে হেফাজতে নেয় পিবিআই। পরে ১২ মে দুপুরে বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন – কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা, এহতেশামুল হক ভোলা, মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, খায়রুল ইসলাম ওরফে কালু, সাইদুল ইসলাম সিকদার ওরফে সাক্কু ও শাহজাহান মিয়া।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর ঐ মামলায় বাবুল আক্তারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে দুই হাজার ৮৪ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ১০ অক্টোবর অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করে আদালত। অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের মধ্যে বাবুল আক্তার, মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, শাহজাহান মিয়া ও আনোয়ার হোসেন কারাগারে রয়েছেন। জামিনে রয়েছেন এহতেশামুল হক ভোলা। এছাড়া কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা ও খায়রুল ইসলাম ওরফে কালু পলাতক রয়েছেন।