তুরস্ক এবং সিরিয়ায় আঘাত হানা বিধ্বংসী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। দেশ দুটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৩৯১ জনে। অন্যদিকে সিরিয়ায় মারা গেছেন ২ হাজার ৯৯২ জনে।
এর আগে ১৯৯৯ সালে আঘাত হানা ৭.৪ মাত্রার এক ভূমিকম্পে তুরস্কে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হরান। আহত হন ৩৩ হাজারের বেশি মানুষ। এবারের ভূমিকম্পে আহতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
ভূমিকম্পে তুরস্কের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি শহরে ৯০ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া মৃতদের স্মরণে ঘোষণা করা হয়েছে সাত দিনের জাতীয় শোক। এদিকে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত কাহরামানমারাস প্রদেশে উদ্ধার তৎপরতা পরিদর্শনে যান এরদোয়ান। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি স্বীকার করেছেন, দুর্যোগ পরিস্থিতি সামাল দেয়ার ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে কিছু সমস্যা ছিল। এই শহরটিই ছিল দ্বিতীয় ভূমিকম্পের কেন্দ্র এবং প্রথম ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে প্রায় ৪০ মাইল দূরে।
উদ্ধারকাজ বিলম্ব হওয়ার জন্য তিনি ক্ষতিগ্রস্ত বিমানবন্দর ও রাস্তাঘাটকে দায়ী করেছেন। তবে তিনি বলছেন, উদ্ধারকাজ এখন স্বাভাবিকভাবেই চলছে।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে যা কিছু আছে তার সবই আমরা কাজে লাগিয়েছি। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। রাষ্ট্র তার কাজ করে যাচ্ছে।’
তবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর বাসিন্দারা উদ্ধারকাজে ধীরগতির অভিযোগ করছেন। তারা বলছেন, সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে এবং এ কারণেই বিধ্বংসী ভূমিকম্পে এত বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
পরিবারগুলো বলছে, তাদের যেসব সদস্য নিখোঁজ রয়েছে তাদেরকে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে খুঁজে বের করতে প্রয়োজনীয় সাহায্য তারা পাচ্ছে না।