প্রতিদিন আড়াই হাজার সিলিন্ডার এলপি গ্যাস উৎপাদিত হত সিলেটের কৈলাশটিলা এলপি গ্যাস প্ল্যান্ট থেকে। কিন্তু গত আড়াই বছর ধরে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে প্ল্যান্টটির। কাঁচামালের অভাবে সম্পূর্ণ সচল প্ল্যান্টটির উৎপাদন বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান এলপি গ্যাস লিমিটেডের সহকারী মহাব্যবস্থাপক আবদুল মোমেন খান।
গোলাপগঞ্জের কৈলাশটিলা গ্যাস কূপ থেকে উত্তোলিত ন্যাচারাল গ্যাস লিকুইড (এনজিএল) থেকে পেট্রোল ও এলপি গ্যাস উৎপাদিত হত। খনিজ গ্যাসের উপজাত কনডেনসেট থেকে পেট্রোল ও ডিজেল উৎপাদন করে কৈলাশটিলা রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (আরপিজিসিএল)। প্রতিষ্ঠানটি পেট্রোল ও ডিজেল বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) এবং এলপি গ্যাস পাশেই স্থাপিত এলপি গ্যাস বটলিং কারখানায় সরবরাহ করত।
আড়াই বছর ধরে উৎপাদন বন্ধ থাকার ফলে স্বপ্লমূল্যে গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহকারী এই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটি প্রতি মাসে সাড়ে ৩ কোটি টাকা আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
আবদুল মোমেন খান জানান, উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল এলপিজি ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে সরবারহ বন্ধ রয়েছে। যার কারণে এ প্ল্যান্টটি গত প্রায় আড়াই বছর ধরে বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, প্ল্যান্ট চালু থাকাকালীন পাইকারি ৫৯১ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ৭০০ টাকায় ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রি হত। এই প্ল্যান্টটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নানা অজুহাতে সিন্ডিকেট করে সিলিন্ডার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।
ভোক্তাদের অভিযোগ, প্রতিনিয়তই বাড়ছে সিলিন্ডার গ্যাসের দাম। ৭০০ থেকে ৮০০ টাকার গ্যাস এখন বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৬০০ টাকায়।
তবে উৎপাদন পুনরায় কবে শুরু হতে পারে এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
আরপিজিসিএল প্লান্ট থেকে দৈনিক এক লাখ লিটার পেট্রোল, ২০ থেকে ২৫ হাজার লিটার ডিজেল এবং ১৫ থেকে ১৭ মেট্রিক টন এলপি গ্যাস উৎপাদন হত।
১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুপ্রেরণায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এ প্ল্যান্টটি। বর্তমানে প্ল্যান্টটি যত্ন করে সচল রাখলেও নেই উৎপাদন।