নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতনের টাকা নিয়ে কলেজে জমা না দিয়ে নিজে আত্নসাৎ করা এবং টাকা ফেরৎ চাইলে টিসি নিয়ে তার পছন্দের কলেজ স্টামফোর্ড কলেজ উত্তরায় ভর্তি হতে বাধ্য করেন শিক্ষক বেলায়েত হোসাইন। তার কথা মত কাজ না করলে শিক্ষা জীবন ধ্বংশ করার হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন উত্তরা ইউনাইটেড কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর ৭ শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীদের দাবী শিক্ষক বেলায়েতকে বিশ্বাস করে তার ফাঁদে পরে এখন অসহায়ের মত তার কাছে বারবার ধরনা দিচ্ছি। তারা বলেন, বেলায়েত হোসেন উত্তরা ইউনাইটেড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শ্রেনী শিক্ষক ছিলেন। তখন বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীরা মাসিক বেতন বেলায়েতের কাছে জমা দিতেন। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে উত্তোলনকৃত ৭০ হাজার টাকা কলেজফান্ডে না বুজিয়ে দিয়ে নিজের বেতন বুঝে নিয়ে বেলায়েত উত্তরা ইউনাইটেড কলেজ থেকে চাকুরি ছেড়ে স্টামফোর্ড কলেজ উত্তরার চলে যান। পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীরা উত্তরা ইউনাইটেড কলেজের অফিসে খোঁজ নিলে দেখেন শিক্ষক বেলায়েতের কাছে জমা দেওয়া কোন টাকা জমা হয়নি। বেলায়েতের কাছে সেই টাকা ফেরত চাইলে তিনি টাকা না দিয়ে উল্টো শিক্ষার্থীদের হুমকি দেন। একজন শিক্ষক হচ্ছে শিক্ষার্থীদের আস্থার জায়গা। বেলায়েত শিক্ষার্থীদের বিশ্বাস ও আস্থা নস্ট করেছে। এমন শিক্ষকের মিস্টি কথায় পা না দেওয়ার আহবান শিক্ষার্থীদের।
বৃষ্টি নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, বেলায়েত স্যার আমার কাছ থেকে ৩০০০ টাকা নেন। আমি রশিদ চাইলে উনি কোন রিসিট দেয়নি বলেন পরীক্ষার সময় দিব। এখন টাকা চাইতে তার কলেজে গেলে তিনি বলেন তোমরা টিসি নিয়ে স্টামফোর্ড কলেজে চলে আসো, ঐ টাকা কাট। কিন্তু আমি টিসি নিবোনা ইউনাইটেড কলেজেই থাকবো বললেও উনি আমার টাকা দিচ্ছেনা আমিতো বাবা মার কাছ থেকে বারবার টাকা নিতে পারবোনা। টাকা বকেয়া রেখেই এখন আমি টেস্ট পরীক্ষা দিচ্ছি।
অপু নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, বেলায়েত স্যারের কাছে আমি বেতনের তিন হাজার টাকা দেই। সেই টাকা আমার নামে জমা দেয়নি, এখন টাকা চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। অপু আরোও বলেন আমার এক বন্ধু আমাকে দেখে ইউনাইটেড কলেজে ভর্তি হইতে চাইছিল তার কাছে ১২ হাজার টাকা নিয়ে তাকে এখানে ভর্তি না করে কুইন মেরীতে ভর্তি করেন। সে যখন জানতে পারে তখন বেলায়েত স্যারকে বললে সে বলে ৩০/৩৫ হাজার টাকা দিয়ে টিসি নিয়ে ইউনাইটেড কলেজে যাও।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন আমি গাজীপুরে থাকি নিয়মিত ক্লাশ করতে পারিনা অধিকাংশ সময়ে ক্লাশ টিচার বেলায়েত স্যারের বিকাশে বেতনের টাকা দিতাম। আমি ১১ হাজার টাকা দেই কোন টাকাই সে কলেজে জমা দেয়নি। টাকা ফেরত চাইলে ২ হাজার টাকা ফেরত দেয় বাকী নয় হাজার টাকা এখনও পাই।
এছাড়া বেলায়েত সাগরের কাছ থেকে ৮০০০ আরিকের কাছ থেকে ৭০০০সহ অনেকের কাছ থেকে বেতনের টাকা নিয়ে জমা দেয়নি। আবার কিছু শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন বেলায়েত শিক্ষার্থীদের না জানিয়ে তাদের নামে উত্তরা ইউনাইটেড কলেজ থেকে স্টামফোর্ড কলেজ উত্তরায় টিসির আবেদন করেন। শিক্ষার্থীদের কাছে মেসেজ গেলে তারা বিষয়টি বুঝতে পেরে ওকেতে ক্লিক না করায় বেঁচে যান। শাহ্জালাল নামে আরেক শিক্ষকও কয়েকজন ছাত্রের কাছ থেকে বেতন নিয়ে কলেজে জমা দেননি।
স্টামফোর্ড কলেজ উত্তরার শিক্ষক বেলায়েতের মোবাইলে একাধিকবার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি, তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।