কক্সবাজারে আলী আজম হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় ১১ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বুধবার কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রাজজ (২) বিচারক মো. সাইফুল এলাহি এ আদেশ দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া বটতলী গ্রামের এনায়েত আলীর ছেলে আবদুল গফুর। রায় ঘোষণার সময় আবদুল গফুরসহ ১১ আসামি পলাতক ছিলেন।
এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন হত্যা মামলার ২ নং আসামি হাজী মাসুদ রহমানের ছেলে এনামুল হক। খালাসপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, নুরুল আলম, মোজাহের আহমদ, মোহাম্মদ হোছন,আবদু সবুর, আলমগীর, আবদুল কাদের, ছৈয়দ আহমদ ও আমির হোসেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯১ সালের ৫ মে সকালে স্থানীয় বটতলী নামক জায়গায় মোহাম্মদ হোসেনের চায়ের দোকানে ছমি উল্লাহর ছেলে আলী আজমকে প্রকাশ্যে গুলি করে আবদুল গফুর। গুলিবিদ্ধ আলী আজম পরে মারা যান।
এ ঘটনায় ৯ মে তার পিতা ছমি উল্লাহ বাদী হয়ে আবদুল গফুরকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। এ মামলায় চিকিৎসকসহ ৭ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুলতানুল আলম বলেন, দণ্ডবিধি ৩০২ ধারায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আসামি আবদুল গফুরকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।