দুজনেই উচ্চপদস্থ কর্মচারী। স্বামী শিখর সিং ছিলেন বাইওকন এর শীর্ষ বিজ্ঞানী। স্ত্রী নিধি সিং কর্পোরেট চাকরিজীবী। বছরে বেতন ৩০ লাখ টাকা। সঙ্গে বিশেষ প্যাকেজ। বেঙ্গালুরুতে সাজানো-গোছানো ছিল তাদের সংসার।
আর এভাবেই নির্বিঘ্নে কেটে যেতে পারত তাদের জীবন। তবে ২০১৫ সালে এক নাটকীয় পদক্ষেপ নেন দম্পতি। চাকরি ছেড়ে উভয়েই সিঙারা বিক্রির মতো ব্যতিক্রমী এক কাজ শুরু করেন।
তাদের মনে হয়েছিল, সিঙারা ভারতীয়দের অতি পছন্দের একটি জলখাবার। তাই এটির ব্যবসা লাভজনক। এর ফলাফলও পেলেন। নিধি সিং বছরে ৩০ লাখ টাকা আয় করতেন। বর্তমানে সিঙারা বিক্রি করে যুগলের আয় বছরে ৪৫ কোটি টাকা।
এ ঘটনাটি ভারতের বেঙ্গালুরুর। বি-টেক পড়তে পড়তে দুজনের পরিচয়। তা থেকে ঘনিষ্ঠতা এবং তারপর বিয়ে। দুজনেই ধনী পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। স্ত্রী নিধির বাবা একজন আইনজীবী। শিখরের বাবা পেশায় গহনা ব্যবসায়ী। কিন্তু দম্পতি নিজেরা কিছু করতে চেয়েছিলেন।
২০১৫ সালে তারা চাকরি ছেড়ে দিয়ে পরের বছর বেঙ্গালুরুতে শুরু করেন সামোসা সিং। শুরুতে তেমন কিছুই ছিল না। কিন্তু দুজনের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে ধরা দেয় সাফল্য।
জানা গেছে, সামোসা কিংয়ের জন্য এই দম্পতির একটি বড় রান্নাঘরের প্রয়োজন ছিল। বাধ্য হয়ে তারা নিজেদের ৮০ লাখ টাকার অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করে দেন। সেই বিক্রির টাকায় বেঙ্গালুরুতে একটি বাড়ি ভাড়া নেন।
আর তাদের ব্যবসা এরপর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। তাদের পরিকল্পনায় ভুল ছিল না। প্রতিদিন প্রায় ৩০ হাজার সিঙারা বিক্রি করে সামোসা সিং। রিপোর্ট অনুযায়ী, টার্ন ওভার বছরে ৪৫ কোটি টাকা।