যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি জে ব্লিঙ্কেন বলেছেন, দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি, ক্রমবর্ধমান সুশিক্ষিত কর্মশক্তি এবং একটি গতিশীল যুব জনসংখ্যার সঙ্গে বাংলাদেশ দ্রুত একটি আঞ্চলিক নেতা হয়ে উঠছে।
রোববার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগণকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়ে এক বিবৃতিতে অ্যান্টনি জে ব্লিঙ্কেন বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আমি আপনাদের স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশের জনগণকে উষ্ণ অভিনন্দন জানাতে চাই।
তিনি বলেন, আপনারা যখন আপনাদের ৫৩তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছেন, তখন বাংলাদেশের গর্ব করার অনেক কারণ রয়েছে। দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি, ক্রমবর্ধমান সুশিক্ষিত কর্মশক্তি এবং একটি গতিশীল যুব জনসংখ্যার সঙ্গে বাংলাদেশ দ্রুত একটি আঞ্চলিক নেতা হয়ে উঠছে। গণহত্যা থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের উদারভাবে স্বাগত জানিয়ে, দুর্বল উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য আপনারা মানবিক প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন। জলবায়ু সংকটে অভিযোজন কৌশল তৈরি করে, আপনারা পরিবেশ রক্ষা এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা জোরদার করার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেখিয়েছেন।
এন্টনি জে ব্লিঙ্কেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে তার অংশীদারিত্বের জন্য এবং গত পাঁচ দশকে এর ফলস্বরূপ অর্জনের জন্য গর্বিত। অতি সম্প্রতি আমরা কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াই, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও একটি উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রচারে একসঙ্গে বাস্তব পদক্ষেপ নিয়েছি। সবার জন্য উন্মুক্ত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সমর্থনে আমরা আপনাদের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
গণতান্ত্রিক রীতিনীতি, সুশাসন, মানবাধিকার এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা— যা সবই উন্নয়নশীল, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ সমাজের বৈশিষ্ট্য— আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ তার বিশাল সম্ভাবনা অর্জন করবে। আমি সামনের বছরে আমাদের অংশীদারিত্ব আরো গভীর করার জন্য উন্মুখ বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।