ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ এসএটোয়েন্টির ব্যস্ততার কারণে চলতি বছরের জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। এর জন্য অবশ্য কম ভুগতে হয়নি দলটিকে। বিশ্বকাপ সুপার লিগের সব ম্যাচ শেষেও বিশ্ব আসরে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করতে পারেনি টেম্বা বাভুমার দল।
বিশ্বকাপে সরাসরি পা রাখতে সমীকরণ কম কঠিন ছিল না দক্ষিণ আফ্রিকার। ভারত এবং ইংল্যান্ডকে সিরিজ হারিয়ে সেটা কিছুটা সহজ করেছিল প্রোটিয়ারা। তবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে পুনর্নির্ধারিত এই সিরিজের দুটো ম্যাচই জেতা একদম জরুরি ছিল। আর সেটা সহজেই করে দেখিয়েছে বাভুমার দল।
রোববার (২ মার্চ) সিরিজের শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ১৪৬ রানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০তে জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। সিরিজের প্রথম ম্যাচটা বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছিল।
এই সিরিজ জিতে বিশ্বকাপে নিজেদের সরাসরি অংশগ্রহণ অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলল দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্ষতি হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। আসন্ন জুন-জুলাইয়ে জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ানডে বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইয়ারে অংশ নিতেই হবে ক্যারিবীয়দের। কিছুটা অনিশ্চিত দক্ষিণ আফ্রিকাও। বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে আয়ারল্যান্ড যদি তিন ম্যাচের সবগুলোতে জিতে যায় তবে তাদের সরিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি অংশ নিবে আইরিশরা।
রোববার টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুর দিকে কিছুটা ধুঁকেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে অ্যাডেইন মার্করাম আর ডেভিড মিলারের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় প্রোটিয়ারা। অ্যাডেইন মার্করাম থামেন ক্যারিয়ার সেরা ১৭৫ রানে। আর মিলার করেন ৯১ রান। তাতে ৩৭০ রানের পাহাড়সম স্কোর দাঁড় করায় প্রোটিয়ারা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুর দিকে কিছুটা প্রতিরোধ দেখালেও ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ে ডাচদের ব্যাটিং লাইনআপ। শেষ পর্যন্ত ২২৪ রানে থামে সফরকারীরা। ডাচদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেছেন মুসা আহমেদ। অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৩ বলে ৪২ রান।