তাইওয়ানের যুক্তরাষ্ট্র সফরকে ঘিরে চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা অনেক দূর গড়িয়েছে। তাইওয়ান প্রণালীতে তিনদিনের সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। এই উত্তেজনার মধ্যেই চীনকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিল চীন।
স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপাঞ্চলটির সীমানায় এরইমধ্যে চীনা যুদ্ধ জাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সাথে দুইটি মার্কিন প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চীন। ভবিষ্যতে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে শি জিনপিংয়ের দেশ।
আমেরিকার মহাদেশের কয়েকটি দেশ সফরের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে ট্রানজিট নিয়েছিলেন সাই ইং-ওয়েন। কৌশলে সেই ট্রানজিটের আড়ালেই ম্যাকওয়ার্থির সাথে বৈঠক করেছেন তিনি।
এবার চীনের হুঁশিয়ারি সম্পর্কে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন শুক্রবার বলেছেন, বর্হিবিশ্বের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে তাইওয়ান। কোনো চাপ প্রয়োগ করেই সেই কাজ থেকে তাইওয়ানকে বিরত রাখা যাবে না। সাই বলেছেন, ‘আমরা কী ধরনের চাপ ও হুমকির মধ্যে আছি বিশ্ব সম্প্রদায়কে তা দেখিয়েছি। তবে এতে তাইওয়ান আরো একতাবদ্ধ হবে, কোনোভাবেই ভেঙে যাবে না। কোনো বাধাই আমাদের বিশ্ব যোগাযোগ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারবে না।’
আর চীনের তাইওয়ান বিষয়ক কার্যালয় বলছে, ‘কথিত ট্রানজিট ছিল একটা অজুহাত মাত্র। আসলে এটা একটা উস্কানি। তারা স্বাধীনতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল।’
উল্লেখ্য, চীনের সতর্কবার্তা দেওয়া সত্ত্বেও মার্কিন সফরে যান তাইওয়ান প্রেসিডেন্ট। এবং মার্কিন স্পিকারের সাথে বৈঠক করেন। এর ফলেই তাইওয়ান এর উপর চটেছেন চীন প্রশাসন। চীন এই সফরকে ঘিরে সামরিক প্রতিক্রিয়া জানায়।
সূত্র: রয়টার্স