উত্তরা সংবাদ দাতা : উত্তরা বিজিবি মার্কেটের অসহায় দোকানদারদের খোঁজ খবর নিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বি এন পি- র সদস্য সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম। তিনি আজ বিকাল ৩ টার সময় উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকার বিজিবি মার্কেটে আগুনে পুরা ক্ষতিগ্রস্থ দোকানদারদেরকে সমবেদনা জানাতে গুলশান থেকে উত্তরায় ছুটে যান।
এ সময় তার সাথে ছিলো কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ -সভাপতি মাহবুবুল আলম, মহানগর বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক আক্তার হোসেন, আহবায়ক সদস্য আফাজ উদ্দিন, ২০ নং ওয়ার্ডএর সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন সহ আরো অনেক নেতা কর্মী। রাজধানীর উত্তরার ৭ নং সেক্টর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মার্কেট নামে পরিচিত কয়েকটি দোকানে আজ সকালে আগুন লেগেছে।
অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৬ টি ইউনিট- দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করলে ১১টা ১০ মিনিটের সময় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। দীর্ঘ ১ ঘন্টা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে “দি লাইফ সেভিং ফোর্স বাহিনী” সম্পূর্ণ আগুন নিভাতে সক্ষম হয়। এছাড়াও অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে উত্তরা পশ্চিম ও পূর্ব থানার বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং ফায়ার সার্ভিসকে আগুন নেভানোর কাজে সহযোগীতা করেন। স্থানীয় দোকানদার মোঃ মনির হেসেন জানায়, আজ সোমবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটের সময় রাজধানীর উত্তরা ৭ নং সেক্টর হাউজ বিল্ডিং মেইন রোডের পাশে গড়ে উঠা বিজিবি মার্কেটে -এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
এসময় এসি লাইট হাউজ ও এসি সেন্টারসহ প্রায় ১০ টি দোকানের মালামাল আগুনে পুরে ছাঁই হয়ে যায়। এছাড়া ও আরো ১০/১২ টি দোকান ও মালামাল ক্ষতি গ্রস্থ্য হয়। উত্তরাস্থ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মার্কেটের দোকানদার লাইট হাউজের মালিক সাঈদ হোসেন জানান, আজ সকাল ১০ টা ১৫ মিনিটের সময় হঠাৎ করে তারা দোকানের ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখতে পায়, তখন তারা মার্কেটের বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে দিয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পানি ছিটিয়ে আগুন নিভানোর চেষ্টা করেন। এ কাজে সহযোগিতা করতে গিয়ে প্রচন্ড গড়মে ২/৩ জন দোকানদারকে অসুস্থ হয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের উত্তরা থেকে ৩ টি ও টঙ্গি থেকে ৩ টিসহ মোট ৬ ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে ১১ টা ২০ মিনিটের সময় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এবং আগুন লাগার সুত্রের বিষয়টি পুরোপুরি জানা যায়নি। তবে আগুনের সুত্রপাত হওয়ার সাথে সাথে স্থানীয় লোকজন আগুন নিভানোর কাজে সহযোগিতা করার কারণে বড় ধরনের দূর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গেছেন এ বাজারের ব্যবসায়ীরা। উত্তরা ৭নং সেক্টরে অবস্থিত ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক হাইওয়ের পাশে এই মার্কেটে প্রায় শতাধিক বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট রয়েছে। তার মধ্যে অটোপার্সের দোকান,বাসের টিকিট কাউন্টার, গাড়ির এসির যন্ত্রনাংশ ও পার্স ক্রয় বিক্রয়সহ বিভিন্ন চায়ের দোকান ও রয়েছে। ঝুকিপূর্ণ এই বিজিবি মার্কেটে প্রচন্ড গড়মে বৈদ্যুতিক তাঁর লিক হওয়ার কারণে এই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হতে পারে বলে দোকানদারসহ অনেকেই প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, আজ সকালে উত্তরার হাউজ বিল্ডিং এলাকা অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা বিজিবি মার্কেটে আগুন লাগার খবর পেয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ছুটে আসলেও মার্কেট কর্তৃপক্ষের কাউকে দেখা যায় নি। দোকানদাররা আগুন লাগার বিষয়ে দোকান মালিকদেরকে দায়ী করেছেন ।কারণ হিসেবে তারা বলেন দীর্ঘ সময় ধরে তারা মার্কেটের বিদ্যুৎ লাইন (তাঁর)ঠিক করার জন্য মালিকদেরকে কয়েক দফা বলার পর ও তারা কর্নপাত করেনি।