দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ ক্রমশ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসতে থাকায় চাঁদপুর-ঢাকা, চাঁদপুর-নারায়গঞ্জসহ সব রুটের লঞ্চ ও নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার রাত সোয়া ১০টা থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নৌ যান বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ) চাঁদপুর।
রাত পৌনে ১২টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ ক্রমশ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসতে থাকায় এবং এর তীব্রতা বাড়তে থাকায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করেছে। ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের মানে হচ্ছে বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ মাত্রার ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়তে পারে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার বা এর বেশি হতে পারে। প্রচণ্ড ঝড়টি বন্দরকে বামদিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করবে।
তিনি আরো বলেন, বিআইডব্লিউটিএ পরিচালক (নৌ-নিট্রা) এর নির্দেশে শুক্রবার রাত সোয়া ১০টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়ার আগ পর্যন্ত ঢাকা-চাঁদপুর, চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা চাঁদপুর ভায়া শরিয়তপুর, মজু চৌধুরীর হাট (লক্ষীপুর)- ইলিশা ঘাট (ভোলা) নৌ-পথের সব ধরনের লঞ্চ ও সি-ট্রাক চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
চাঁদপুরগামী লঞ্চের যাত্রী শহরের পুরান বাজারের বাসিন্দা এম রহমান জানান, রাত ১১টার দিকে চাঁদপুরে আসার উদ্দেশ্যে সদরঘাটে আসি। কিন্তু ঘাট থেকে চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের সব লঞ্চ রাত ৯.৪০ মিনিটের পর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে ঘাটে আসা শত শত লঞ্চ যাত্রী ফিরে যেতে হয়েছে।
নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামরুজ্জামান জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সার্বিক পরিস্থিতি দেখে নৌ পুলিশের প্রত্যেক থানা ও পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা সক্রিয়ভাবে লঞ্চঘাট ও উপকূলীয় এলাকায় প্রস্তুত রয়েছে। একই সঙ্গে লঞ্চ ও ছোট নৌযান নিরাপদে থাকার জন্য সতর্কতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।