ঠাকুরগাঁওয়ের প্রায় সব উপজেলাতে লিচু চাষ করে থাকেন কৃষকরা৷ এবার লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা৷
সরেজমিনে জেলার সদর উপজেলার মুন্সিরহাট,আকচা ও নারগুনের কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, তীব্র তাপদাহের কারণে অনেক লিচুতে দাগ হয়ে গেছে। কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কা থাকলেও লিচু পরিপক্ব করার জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা। কিছু কিছু বাগানের দেশি পাতি লিচু পাড়তে শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা।
লিচু চাষিরা জানান, প্রতিবছর ঠাকুরগাঁওয়ে লিচু দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে। লিচুর ব্যবসা লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছরই সেখানে লিচু চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে লিচুর ভালো ফলন হয়।
চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা ব্যবসায়ী আজাহারুল ইসলাম বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে লিচুর ব্যবসা করি। এ বছর লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। যদিও খরায় অনেক লিচু ঝরে পড়েছে, তারপরও লাভ হবে বলে আশা করছি।
লিচু ব্যবসায়ী আবদুল কাউয়ুম বলেন, আমি ১০ বছর ধরে লিচু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রায় ১৭ একর বাগান নিয়েছি। বাগানগুলোতে পাতি লিচু, কদমি লিচু, চায়না টু এবং চায়না থ্রির জাতের লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার পাইকাররা গাছের লিচু কিনেছেন প্রতি হাজার ১৫০০ টাকা দরে। চলতি সপ্তাহে লিচু ভাঙা শুরু করব।
ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম বলেন, গত বছর কদমি লিচু ১২০০ টাকা প্রতি হাজার কিনলেও এ বছর প্রায় ১৪০০-১৫০০ টাকা কিনতে হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, জেলায় এবার লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। এখনো সঠিক হিসাব মিলেনি। তবে সার ও সেচের সঠিক ব্যবহার না হওয়ায় ক্ষত হয়ে পড়ে যাচ্ছে লিচু। গত বছর ২৫৬টি বাগানে ৯০৫ হেক্টর জমিতে ৫ হাজার ৯৯৮ টন লিচু উৎপাদন হয়েছিল৷ এবারে তার মাত্রা বাড়বে বলবে আশা করছি৷