গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী আজমত উল্লাকে ১৬,১৯৭ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন তিনি।
গাজীপুর সিটির মোট ৪৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন ২,৩৮,৯৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আজমত উল্লা খান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২,২২,৭৩৭ ভোট।
ভোটের বেসরকারি ফলাফলে জায়েদা খাতুনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে গাজীপুর সিটির নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম এ ঘোষণা দেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ একটানা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সকাল থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভিড় করেন ভোটাররা। নির্বাচন নিয়ে সারাদিন কোনো অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। সকাল থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে ছিল ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি। বিশেষ করে নারী ভোটারদের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো।
নগরে এই প্রথম ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলো। এ প্রযুক্তির সঙ্গে অনেক ভোটারই অপরিচিত। তারপরও তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। তবে ভোটগ্রহণে কিছুটা ধীরগতি দেখা যায়। বিশেষ করে নারী ও বয়স্করা কিছুটা জটিলতায় পড়েন। তবে তরুণরা স্বাচ্ছন্দ্যেই ভোট দেন।
গাজীপুর সিটির ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তিন মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান, শাহনূর ইসলাম রনি এবং জায়েদা খাতুন।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে কমিশনও সন্তুষ্টি প্রকাশ করে। বিকেলে ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, যেভাবে ভোট হয়েছে তাতে আমরাও সন্তুষ্ট।
তিনি বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন সব প্রার্থীর কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। নির্বাচনে ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ১৮ জন তৃতীয় লিঙ্গের। সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি, মোট ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি।