আফ্রিকান দেশ মালি থেকে অবিলম্বে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীকে প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুলায়ে ডিওপ। তিনি বলেছেন, এই বাহিনীর জন্য মালিতে আন্তঃসাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়ছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া ভাষণে শুক্রবার এ আহ্বান জানান ডিওপ।
তিনি বলেন, মালিয়ান কর্তৃপক্ষ এবং মিনুসমার মধ্যে আস্থার সংকট রয়েছে ব্যাপক। মালিয়ান সরকার অবিলম্বে মিনুসমার প্রত্যাহার চাইছে।
মালিতে জাতিসংঘের মিশনকে বলা হয় মিনুসমা। তুয়ারেগ বিদ্রোহের পর দেশকে স্থিতিশীল করার জন্য ২০১৩ সালের ২৫ এপ্রিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজোলিউশন ২১০০ দ্বারা মিনুসমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
মিনুসমার বর্তমানে ১৩ হাজারের বেশি সেনা রয়েছে। তবে দশক পুরনো মিশনটি জিহাদি সহিংসতার বিস্তার বন্ধে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের বদলে রাশিয়ান ওয়াগনার ভাড়াটেরা এখন মালির সামরিক শাসকদের সহায়তা করছে।
পশ্চিমারা ওয়াগনারকে ইউক্রেন এবং আফ্রিকার কিছু অংশে যুদ্ধাপরাধের জন্য অভিযুক্ত করেছে। মালিতে ওয়াগনারের শীর্ষ কর্মকর্তা ইভান মাসলভের ওপর গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞার জারি করেছে।
ওয়াগনার পশ্চিমা অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য করেননি। তারা মালি এবং আফ্রিকার অন্যান্য অংশে নিজেদের কার্যক্রম নিয়ে খুব একটা কথা বলেন না।
মালিতে জাতিসংঘের বিশেষ দূত এল-ঘাসিম ওয়ানেকে শুক্রবার ডিওপের মন্তব্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে বলেন, নিরাপত্তা কাউন্সিল যে সিদ্ধান্তই নেবে, আমরা তাই মেনে চলব।
তিনি বলেন, আয়োজক দেশের সম্মতি ছাড়া একটি নির্দিষ্ট দেশে কাজ করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হবে, যদিও তা অসম্ভব না।
মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের হাইকমিশনারের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের মার্চে মধ্য মালির মৌরা গ্রামে মালিয়ান সশস্ত্র বাহিনী এবং ‘বিদেশি নিরাপত্তা কর্মীরা’ অভিযান চালিয়ে পাঁচ শতাধিক মানুষকে হত্যা করে। মালি এবং রাশিয়া উভয় সরকারই এই প্রতিবেদনের নিন্দা করেছে।
সূত্র: আল জাজিরা