স্ত্রীকে হত্যার পর তড়িঘড়ি করে লাশ দাফন করেন স্বামী। দাফন সেরে হয়তো ভেবেছিলেন এ যাত্রায় বেঁচে গেছেন তিনি। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। দাফনের নয়দিন পর কবর থেকে সেই লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
স্বামী কাজী শাহেদুজ্জামান রিমনকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে হত্যার তথ্য। এরপর সোমবার রাতে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম খাদিরখিল এলাকা থেকে আসমা আক্তার নামে ঐ নারীর লাশ উত্তোলন করা হয়। মঙ্গলবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পতেঙ্গা থানার ওসি আফতাব হোসেন।
কাজী শাহেদুজ্জামান রিমনের বাড়ি পশ্চিম খাদিরখিল এলাকায়। স্ত্রীকে নিয়ে চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা থানার খেজুরতলা এলাকায় থাকতেন তিনি।
জানা গেছে, চাকরির জন্য চট্টগ্রামে এসে ১০ বছর আগে রিমনকে বিয়ে করেন কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার মো. আলমের মেয়ে আসমা আক্তার। তাদের সংসারে ৯ বছর বয়সী এক ছেলে এবং তিন বছর ও ১০ মাস বয়সী দুই মেয়ে আছে।
আসমার বাবা মো. আলমের অভিযোগ, গত ১০ জুন বিকেলে তাকে ফোন করে আসমা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানান জামাতা রিমন। কিন্তু রিমনের কথাবার্তা অসংলগ্ন মনে হয় তার। কথা বলার একপর্যায়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফোনটি বন্ধ করে দেন রিমন। এরপর পতেঙ্গার খেজুরতলা এলাকায় ছুটে যান তিনি। সেখানে গিয়ে মেয়ের প্রতিবেশীদের কাছে জানতে পারেন- আসমার গলায় দাগ দেখেছেন তারা। পরে এ ঘটনায় পতেঙ্গা থানায় মামলা করেন তিনি।
পতেঙ্গা থানার ওসি আফতাব হোসেন বলেন, গত ১২ জুন মেয়েকে হত্যা করে জামাতা লাশ গুম করেছেন বলে থানায় অভিযোগ করেন আসমা আক্তারের বাবা। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ জুন ইপিজেড থানার কাজী গলি এলাকা থেকে শাহেদুজ্জামান রিমনকে গ্রেফতার ও কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়। পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে তাকে চারদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন বলে জানান রিমন। হত্যার পর লক্ষ্মীপুরের নিজ এলাকায় তড়িঘড়ি করে লাশ দাফন করেন তিনি। পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে সোমবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশটি উত্তোলন করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে আনা হয়েছে।