শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা জাতিসংঘের রূপান্তরকারী শিক্ষা সম্মেলনে প্রজন্মগত সংকট মোকাবিলায় এবং এসডিজি-৪ অর্জনের জন্য যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তা অন্য লক্ষ্যগুলোর কেন্দ্রবিন্দু। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শন অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ শিক্ষা ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাও করোনা মহামারি আক্রান্ত হয়েছে। এর প্রভাব থেকে আমরা নিজেদের পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছি।
বৃহস্পতিবার ভারতের মহারাষ্ট্রে জি-২০ দেশগুলোর শিক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দক্ষতা বৃদ্ধি ও কর্মমুখী শিক্ষার প্রতি আমাদের যে নজর সেটি ফল দিতে শুরু করেছে। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় ভর্তির হার অভাবনীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যে হারে মেয়েদের এনরোলমেন্ট বেড়েছে তা বিস্ময়কর। কোভিডের পর শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি আমরা জোর দিচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা দরকার যা দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম। আর্থ-সামাজিক চাহিদার সঙ্গে প্রাসঙ্গিক। তাই নতুন ন্যাশনাল কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক একবিংশ শতাব্দীর চাহিদা, আমাদের ভিশন ২০৪১ এবং দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে সমাধান করছে। আমরা তাদের যোগ্যতা, বিশেষ প্রয়োজন, লিঙ্গ, ধর্ম, জাতি, আর্থ-সামাজিক অবস্থা ইত্যাদি নির্বিশেষে সমস্ত শিশুর মৌলিক দক্ষতার সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ডা. দীপু মনি বলেন, ডিজিটাল রূপান্তরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল শিক্ষার ইকো-সিস্টেম বিকাশের মধ্যে শিক্ষা ব্যবস্থাপনা, ডিজিটাল শিক্ষাবিদ্যা এবং শিক্ষা, মূল্যায়ন, শিক্ষকের প্রশিক্ষণ, মনিটরিং এবং মেন্টরিং ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বৈশ্বিক সংকটের মুখে, আমাদের ব্যক্তিগত এবং সম্মিলিত দৃঢ় রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি শুধুমাত্র মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন, যুদ্ধ ও অর্থনৈতিক মন্দার নেতিবাচক প্রভাবগুলো কমানোর জন্যই নয়, বরং এসডিজি-৪ অর্জন নিশ্চিত করার জন্য।