রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, সভ্যতা ও অগ্রগতির ধারক-বাহক হলো জনসংখ্যা। এটি রাষ্ট্রের একটি মূল উপাদানও।
‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে সোমবার এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০২৩ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘জেন্ডার সমতাই শক্তি: নারী ও কন্যাশিশুর মুক্ত উচ্চারণে হোক পৃথিবীর অবারিত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন’ যা দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার নিরিখে যুগোপযোগী ও যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, পরিকল্পিত ও পরিমিত জনসংখ্যা যেকোনো দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশের আয়তন, অবস্থান, জনসংখ্যা, প্রাকৃতিক সম্পদ, পরিবেশ, আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনায় পরিকল্পিত পরিবার গঠনের বিকল্প নেই। জনসংখ্যাকে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় রেখে বিদ্যমান সম্পদের পরিবেশবান্ধব ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করতে হবে। টেকসই উন্নয়নে পরিকল্পিত ও দক্ষ জনসংখ্যার গুরুত্ব অপরিসীম।
তিনি বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে নারী ও পুরুষের সমঅধিকারের কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে আমাদের দেশে জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। জাতীয় উন্নয়নে নারীদের অধিক হারে সম্পৃক্ত করতে হবে। এছাড়া জেন্ডার সমতা অর্থাৎ নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, গর্ভবতী নারীর নিরাপদ প্রসবসহ প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত এবং কিশোরীদের বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্যসেবায় অগ্রাধিকার দিতে হবে। পরিবার পরিকল্পনার মাধ্যমে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার রোধ করে দারিদ্র্য বিমোচনসহ শিক্ষা ও কর্মসংস্থান বাড়াতে মনোযোগী হতে হবে। তাই পরিকল্পিত পরিবার গঠনে বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে সক্ষম দম্পতিদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, নারী-পুরুষ সমতা এবং নারী ও কন্যাশিশুর অসীম সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে নারীর ক্ষমতায়ন ত্বরান্বিত হবে, দেশ এগিয়ে যাবে। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পারলে আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরসহ বিভিন্ন জনমিতিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হবো।
কাঙ্ক্ষিত এই লক্ষ্য অর্জনে তিনি সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আরো সক্রিয় ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০২৩’ উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।